ঈদে বাস ছাড়ার আগে মশার স্প্রে ব্যবহারের নির্দেশ

ঈদযাত্রায় ঢাকা থেকে বাস ছাড়ার আগে মশা মারার স্প্রে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। একইসঙ্গে ঢাকার মহাখালী, সায়েদাবাদ ও ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালের জন্য তিনটি ফগার মেশিন কিনে স্প্রে করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রোববার ৪ আগস্ট বিকেলে বাংলামোটরে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধকল্পে করণীয় বিষয়ে মালিক-শ্রমিক যৌথসভা’য় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ শুধু সিটি কর্পোরেশন বা সরকারের একার কাজ নয়। ডেঙ্গু মোকাবিলায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা সমিতির পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে সিটি কর্পোরেশনের ওপর নির্ভর না করে নিজেরাই মশা মারার ওষুধ ছিটাব।

খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, রাজধানীর সায়েদাবাদ, মহাখালী, গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়া- এই চারটি টার্মিনালকে ডেঙ্গুমুক্ত করতে আগামীকালের মধ্যে তিনটি ফগার মেশিন কিনতে হবে। তিনটির মধ্যে সায়েদাবাদে একটি, মহাখালীতে একটি এবং গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়ায় যৌথভাবে একটি ফগার ব্যবহার করা হবে।

বাস মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, স্ব স্ব টার্মিনালের মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে এগুলো কিনে মশা নিধনের কাজ পরিচালনা করতে হবে। ফগার কেনার পর সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে কথা বলে ওষুধ কিনতে হবে এবং লোক রেখে এগুলো ছিটানোর ব্যবস্থা করবেন। এই কার্যক্রমের দায়িত্ব সম্পূর্ণ মালিক সমিতির। প্রতিদিন সকালে একবার সন্ধ্যার আগে একবার ওষুধ ছিটাবেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে সাংগঠনিক সম্পাদকের সমন্বয়ে একটি পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি আপনাদের কার্যক্রম মনিটরিং করবে।

সভায় মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ হলেও মহাখালী বাস টার্মিনালে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত কেউ মশার ওষুধ ছিটায়নি। আমরা একটি এনজিওর সহযোগিতায় নিজ উদ্যোগে মশার ওষুধ ছিটিয়েছি।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সিটি কর্পোরেশন মশা নিধনে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাদের সহযোগিতা থাকলে আমাদের কাজ আরও সহজ হতো।

সভায় তিনি বলেন, ঈদের সময় বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে আলোচনা হয়, সংবাদপত্রে নিউজ হয়। এগুলো আর শুনতে ভালো লাগে না। এ সময় খন্দকার এনায়েত উল্লাহ কাউকে অতিরিক্ত ভাড়া না নেয়ার নির্দেশ দেন।

এছাড়া জরাজীর্ণ ফিটনেসবিহীন গাড়ি টার্মিনাল থেকে বের না করার অনুরোধ জানান। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে ড্রাইভারের জায়গায় যাতে কোনো হেলপার গাড়ি না চালায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

খন্দকার এনায়েত বলেন, গ্রীনলাইনের একটি ঘটনায় তাদের ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেন আদালত। কোনো আইনে এত টাকা জরিমানার বিধান না থাকলেও আদালত বলেছেন, শুধু দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য এ রায়। খেয়াল রাখবেন কারও অমনোযোগিতা বা খামখেয়ালির কারণে যেন দুর্ঘটনা না ঘটে। তাহলে কিন্তু ফৌজদারি কার্যবিধি ৩০২ ধারায় (হত্যাকাণ্ড) মামলা দেয়া হবে।