ঈদে বেশি খাওয়া হয়ে গেলে যা করবেন

ঈদ মানেই আনন্দ। আর এই আনন্দ শুধু পোশাক আর সাজ-সজ্জায় সীমিত নয়। ঈদের আনন্দের সাথে যে ব্যাপারটি আমাদের সাথে কঠিনভাবে জরিয়ে থাকে সেটা হচ্ছে ঈদের খাওয়া-দাওয়া। আর যদি কুরবানির ঈদ হয় তাহলে তো কথায় নেই। শুধু মাংস আর মাংস। তাই এই সময় বেশি খাওয়ার লোভ হলেও আমাদের স্বাস্থের কথা খেয়াল রেখেই আমাদের খাওয়া উচিৎ। কিন্তু আমরা অনেকেই আছি যারা খাবার দেখলে আর নিজেকে সামলে রাখতে পারি না। তাই বেশি খাওয়ার পরিনিতি হিসেবে আমাদের ভুগতে হয় নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায়।

আসুন আমরা আজ জেনে নেই এবার ঈদে কম খাবেন কীভাবে। আর বেশি খেয়ে ফেললে কি করবেন। আর কি করলেই এই সময়ে বেশি খেয়েও সুস্থ থাকতে পারবেন।

• যারা স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, কিডনির সমস্যা, Arthritis (গেটেবাত), হৃদরোগ ইত্যাদিতে ভুগছেন, তারা অবশ্যই ডাক্তারের বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতো ও পরিমিত মাংস পরিমাণে খাবেন।

• মাংস, পোলাও, বিরিয়ানি ইত্যাদি গুরুপাক খাবার যখন খাবেন, তখন খাবারের সঙ্গে প্রচুর সালাদ খাবেন। কারণ সালাদ খাবার হজমে সাহায্য করে। এছাড়া প্রতি বেলার খাবারে অবশ্যই বেশি বেশি সবজি খাবেন। টক দই, বোরহানি, লেবুর শরবত (চিনি ছাড়া) ইত্যাদি খাবার হজমে সহায়ক। এগুলো খাবার পর খেতে পারেন।

• প্রতিবেলা মাংস না খেয়ে একবেলা হলেও মাছ খান। যেমন- রাতের খাবারে মাছ রাখতে পারেন। কারণ মাছে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাট, যা শরীরের জন্য ভালো।

• বেশি মাংস খাওয়া হয়ে গেলে এবার লোভ সামলান। দিনে সবজি, সালাদ, ফল, ডাল খেয়ে ব্যালান্স করুন।

. খাবার দেখেই ঝাপিয়ে না পড়ে, আস্তে আস্তে খাওয়া শুরু করুন। নিজেকে সংযত করুন এবং পরিমিত আহার করুন।

. বেশি ক্ষুধা লাগিয়ে না খেয়ে অল্প ক্ষুধা লাগলে খান, এতে কম খাওয়া হবে। খাবার আগে পানি খেয়ে নিন অথবা দাওয়াতে যাওয়ার আগে সালাদ, ফল ইত্যাদি কম ক্যালরির সহজ পাচ্য খাবার বা পানীয় খেয়ে নিন। তাহলেও কম খাওয়া হবে।

• কোরবানি ঈদে যেহেতু লাল মাংসের (গরু, খাসি) ছড়াছড়ি, তাই মাংস খাওয়ার লোভ সামলানো দায়। তবে যখন খাবেন তখন অল্প পরিমাণে খান। কেননা লাল মাংসে অনেক ফ্যাট থাকে।

• সকালে উঠেই লেবু আর মধু এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে গুলে খেলে তা হজমের জন্য এবং মেদ কমাতে সহায়ক।

• কোনো বেলা বেশি খেয়ে ফেললে বা দাওয়াত থাকলে অন্য বেলা রুটি, সালাদ বা স্যুপ খেয়ে ব্যালান্স করুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে শর্করা (ভাত, চিনি) জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।

• মিষ্টি খাবার/চিনি যুক্ত খাবার দুই-একদিনের বেশি না খাওয়াই ভালো। খেলেও খুবই অল্প পরিমাণে।

• কোমল পাণীয় চিনি যুক্ত পানীয় না খাওয়াই ভালো। এসবের বদলে ফলের চিনি ছাড়া জুস, বোরহানি, টক দই, পুদিনা লাচ্ছি, ডাবের পানি ইত্যাদি খেতে পারেন।

তথ্য সূত্র: ওএস