ঈদে রক্ত পরীক্ষা করে ঢাকা ছাড়তে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) লন্ডন থেকে নির্দেশনা দিয়েছেন- ‘ঢাকা থেকে যারা ঈদ ‍উদযাপন করতে রাজধানীর বাইরে যাবেন, তারা যেন রক্ত পরীক্ষা করে যান। কারণ তারা যদি ডেঙ্গু নিয়ে বাইরে যান, তাহলে বাইরে অনেক বেশি এটি বিস্তার লাভ করবে।’

বুধবার দুপুরে এইচটি ইমামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দলের ২০১৮ সালের আয় ও ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার পর এসব কথা বলেন।

এ সময় ডেঙ্গুর বিষয়টি আমরা অনুধাবন করি উল্লেখ করে এইচটি ইমাম বলেন, এটি নিয়ে প্রত্যেক দিন আলোচনা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যারা আছেন, তাদের সঙ্গে আমরা আমরা কথা বলি। মেয়র কী করলেন, না করলেন তার চেয়ে বড় কথা তার অধীনস্থ কর্মচারী-কর্মকর্তারা কী করছেন। তাদের খোঁজ খবর নেওয়া, ওষুধ ঠিকমতো দেওয়া হয় কিনা, ওষুধ ছাড়াও সবচেয়ে বড় জিনিস এসব ক্ষেত্রে জনসচেতনা বাড়ানো। প্রত্যেকের সচেতন হতে হবে। প্রত্যেকে বাড়িতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকেন কিনা, সেটি সরকারের দায়িত্ব না। এটা আপনাকে করতে হবে। এই জিনিসটি প্রত্যেক নাগরিককে বুঝিয়ে দেওয়া দরকার।

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, নাগরিক দায়িত্ববোধ আসতেই হবে। প্রথম থেকেই ব্যাপকভাবে আমরা দেখছিলাম প্রচার হচ্ছিল না। এখন বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে প্রথম প্রচার হওয়ার পর অন্য টেলিভিশনও এখন ব্যাপক প্রচার করছে। ডাক্তাররা কী বলছেন, কোথায় এটি জন্মায় এটি জানাতে হবে। আতঙ্ক বড় জিনিস। আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য অনেকে আবার এটা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে অনেক কথা বলেন। এগুলো দেখার বিষয় আছে।

ডেঙ্গু নিয়ে আমাদের সচেতন হওয়া খুবই দরকার উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মশারি ব্যবহার করি। কারণ মশার কামড় কোন সময়ে খাবো ঠিক নেই। আবার তেমনি ঘরের কোণায় কিছু আছে কিনা সেটাও দেখা দরকার। মশা মারার ব্যবস্থা, ঘরের পাশেই পটপ্ল্যান্ট ছিল, সেগুলো সব সরিয়ে দিয়েছি। বালতিতে পানি না রাখা। স্বচ্ছ পানিতে ডেঙ্গু হয় বেশি। এটি আগে আমি নিজেই জানতাম না। অনেকেরই ধারণা ছিল, ময়লা পানিতে হয়। আসলে তা নয়, স্বচ্ছ পানিতে ডেঙ্গু ডিম পাড়ে বেশি।

আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান বলেন, একদিনে মশা নিধন করা অন্যদিকে চিকিৎসা। চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্তি ছিল। প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর অনেকেই রোগী নিতে চাচ্ছিলেন না। আমরা তাদের বাধ্য করেছি। তাদের যখন রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়, তাদের যখন লাইসেন্স দেওয়া হয়, তখন বলা হয় কোনো রোগীকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন না।