ঈদে লম্বা ছুটি, রাজধানী ছাড়ছে অসংখ্য মানুষ

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছুটি পেয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাতে রাজধানী ছেড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রওনা দিয়েছে অসংখ্য মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকাল থেকেই বিভিন্ন পরিবহনে বাড়তি ভিড় শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ মে) সকালে রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, কমলাপুর রেলস্টেশন এবং সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

এবার ঈদে নয় দিনের ছুটির ফাঁদে পড়েছে দেশ। তবে এর মাঝে আগামী ৩ জুন সোমবার অফিস-আদালত খোলা। ঈদযাত্রা লম্বা করার জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই ওইদিন ছুটি নিয়েছেন। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। পবিত্র লাইলাতুল কদরের বন্ধ রোববার।

শুধুমাত্র সোমবার অফিস-আদালত খোলা থাকলেও মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার ঈদের ছুটি। পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। অর্থাৎ সোমবার একদিনের ছুটি নিলে ৯ দিনের ছুটির ফাঁদে পড়ছে দেশ।

বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই বাস-ট্রেন-লঞ্চে ঘরমুখো মানুষের ভিড় ছিল ব্যাপক। অফিস শেষে অসংখ্য মানুষ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। দীর্ঘযাত্রায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আগেভাগেই বাড়ি রওনা হয়েছেন তারা।

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো যাত্রী বহনকারী গাড়ির জ্বালানি নেয়ার সুবিধার্থে ঈদের আগে ও পরে মোট ১৩ দিন সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। ঈদের আগে তিনদিন মহাসড়কে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্ট ও ওষুধবাহী যানবাহন চলবে।

ঈদযাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে পৃথক কন্ট্রোল রুম খুলেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

শুক্রবার (৩১ মে) থেকে ঈদের স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস যাত্রা শুরু করছে। এসব ট্রেনের ২০ শতাংশ যাত্রী দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিট পাবেন।

বরিশালসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের অন্যতম মাধ্যম সদরঘাটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর যাত্রীচাপ ছিল লক্ষণীয়।