উত্তরে আবারো বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

দেশের উত্তরাঞ্চলে আবারো বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ভরা মৌসুমে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ক্রেতারা।

এক সপ্তাহ আগে যেখানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেখানে বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম উঠেছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমে যাওয়ায় দেশের বাজারে পণ্যটির সরবরাহ কমেছে। এ কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হঠাৎ করে রংপুর ও আশপাশের জেলাগুলোতে কয়েক দিন থেকে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। আজ বুধবার সকালে রংপুরের সিটি বাজার, বুড়িরহাট, লালবাগ হাটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজিদরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা সাফ জবাব দেন, ‘বাজার বেশি হলে আমাদের করার কি আছে!’ সিটি বাজারের ব্যবসায়ী নূর হোসেন ও মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়লে খুচরা বাজারেতো এর প্রভাব পড়বেই।’

ক্রেতারা বলছেন, এক সময় পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া ছিল। মাঝখানে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও হঠাৎ করে পেঁয়াজ উত্তোলনের ভরা মৌসুমে অকারণে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, ভারত থেকে ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। আমদানিকৃত এসব জাতের পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৪৯ থেকে ৫১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা সপ্তাহখানেক আগে ৪০ থেকে ৪২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। আর বাংলাহিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে দেশি জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে, যা কয়েকদিন আগে বিক্রি হয়েছিল ৪৫ টাকা থেকে ৫০টাকা কেজি দরে।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বন্দর দিয়ে পূর্বে গড়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে বন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক হারুন উর রশীদ ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, ভারতের বাজারে দেশীয় বাজারের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় বন্দরের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। এ কারণে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কমার ফলে দাম বাড়তির দিকে রয়েছে।

তবে পেঁয়াজের আমদানি বাড়লে দেশের বাজারে পণ্যটির সরবরাহ যেমন বাড়বে তেমনি দামও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।