উপস্থাপিকার পিছনে ৯ ফুট পানির ঢেউ!

ঝড়ের ভয়াবহতা বোঝাতে ক্যামেরার সামনে হাস্যকর অঙ্গভঙ্গি করে তুমুল সমালোচিত হয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্য ওয়েদার চ্যানেল’র সাংবাদিক। সেই রেশ কাটতে না কাটতে ফের বিতর্কে আবহাওয়া সংক্রান্ত চ্যানেলটি। এবার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, উন্নত প্রযুক্তির যথেচ্ছ ব্যবহার করে দর্শকদের মনে ভীতি সঞ্চারের।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের নর্থ ক্যারোলাইনায় আছড়ে পড়েছে বিধ্বংসী হারিকেন ফ্লোরেন্স।তা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে খবর পড়ছিলেন আবহাওয়াবিদ এরিকা নাভারো। স্টুডিওতে দাঁড়িয়েই খবর পড়ছিলেন তিনি। তবে গ্রিন স্ক্রিন ও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেটি নর্থ ক্যারোলাইনায় রূপান্তরিত করা হয়।

অভিজ্ঞতাটা খানিকটা হলে বসে থ্রি ডি সিনেমা দেখার মতো। দেখলে মনে হবে নর্থ ক্যারোলাইনার কোনও রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন এরিকা। আর পিছনে ঢেউ মাথা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

সেই ভাবেই দর্শককে পরিস্থিতি বোঝাতে শুরু করেন এরিকা, ৩ ফুট পানি থাকলে কী করণীয়। পানির স্তর ৯ ফুটের বেশি হলে, সঙ্গে ঝড় বইলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে ইত্যাদি।

উন্নত প্রযুক্তির এমন ব্যবহারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের মতে, বাড়াবাড়িই করছে চ্যানেলটি। খবরের নামে অযথা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করছে তারা। অনেকে আবার বলেন, প্রযুক্তি যতই উন্নত হোক না কেন, টেলিভিশনে ওই দৃশ্য দেখতে বেশ অস্বস্তি হয়।

হারিকেন ফ্লোরেন্স নিয়ে খবর করতে গিয়ে শুরু থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছে ‘দ্য ওয়েদার চ্যানেল।’

লাইভ কভারেজ করতে গিয়ে বিতর্ক বাধান তাদের প্রবীণ সাংবাদিক মাইক স্পিডেল। ঝড়ের তাণ্ডব কতটা বোঝাতে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ঠকঠক করে কাঁপতে শুরু করেন তিনি। সামনে পিছনে দুলতেও শুরু করেন। ভাবটা এমন যেন ঝড়ের দাপট তাকে স্থির থাকতে দিচ্ছে না। কিন্তু তিনি যখন অঙ্গভঙ্গি করতে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময়ই তার পিছন দিয়ে নিশ্চিন্তে হেঁটে যেতে দেখা যায় দুই পথচারীকে। তাই নিয়ে রীতিমতো হাসাহাসি হয়েছিল নেট দুনিয়ায়।