‘উল্টোপথে গাড়ি চালাতে চালককে বাধ্য করা হয়’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমালোচনা করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাদের কারণেই চালক উল্টোপথে গাড়ি চালাতে বাধ্য হয়।

রবিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘সাবধানে চালাবো বাড়ি, নিরাপদে ফিরবো বাড়ি’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা বিআরটিসি গাড়িকে উল্টোপথে চালিত করে। কথা না মানলে চালককে গন্তব্যে নিয়ে আটকে রাখা হয়।’ তিনি বলেন, ‘এই ধরনের শিক্ষার কোনো দরকার নেই। এরাই তো এদেশের দায়িত্ব নিবে। এরা দায়িত্ব নিলে দেশের কোনো কাজে আসবে না।’

এ সময় আমলাদের নিয়েও সমালোচনা করেন কাদের। বলেন, ‘কত বলেছি নিয়ম মেনে চলুন। কিন্তু তারা শোনেননি। তবুও উল্টোপথে গাড়ি চালাচ্ছেন। এখন দুদক ধরছে। ধরবেই। আমরা রাস্তাকে নিরাপদ করব। হাল ছাড়বো না। প্রতিদিন কাজ করে যাবো। আমি কারও কমিশন নিয়ে চলি না। শতভাগ সততা নিয়ে কাজ করি। তাই কাউকে ভয় পাই না।’

জনপ্রতিনিধিদের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের এলাকায় হেলমেট ছাড়া দ্বিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডারের মতো গাড়ি চালাচ্ছে অনেকে। জনপ্রতিনিধিদের সংবর্ধনা দিতে শত শত মানুষ হেলমেট ছাড়া গাড়ির মহড়া করে। এতে করে যানজট হয়। সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। নিজের নিয়ম মেনে না চলায় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের এলাকায়ই নসিমন করিমন তথা ব‍্যাটারি চালিত গাড়ির কারখানা। যে গাড়িতে মানুষ প্রতিনিয়ত প্রাণ দিচ্ছে। সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ করছে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত তিনদিন ধরে জলজট, জনজট হয়েছে। সে কারণে সমালোচনাও হচ্ছে। হোক। সমালোচনা আমি প্রত্যাশা করি। কিন্তু অবস্থাকে বিবেচনায় এনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তুলনা করে সমালোচনা করবেন।’

বিআরটিএর চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের সভাপতি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম এমপি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সাবেক সচিব এম এন সিদ্দিক, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম প্রমুখ।