এই ‘দেশদ্রোহী’ মেয়েটিই কি ভারতের ভবিষ্যতের নেত্রী?

তিনি ‘শহীদকন্যা’। তাকে সম্ভ্রমহানীর হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সাবেক ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেওয়াগ তাকে নিয়ে ব্যঙ্গে মেতেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার একমাত্র দোষ, তিনি কারগিল যুদ্ধে শহিদ পিতাকে পাকিস্তানের দ্বারা নিহত বলতে রাজি হননি।

তিনি কথা বলেছিলেন, ‘যুদ্ধের’ বিরুদ্ধে। আর তাতেই রাষ্ট্র ও তার মেটোনিমিরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। সহজেই তার গায়ে লাগানো হয় ‘দেশদ্রোহী’ তকমা। সোশ্যাল মিডিয়ার বর্তমান রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হন গুরমেহের কাউর।

কিন্তু আগুনকে ছাইচাপা রাখা যে যায় না, তা জানিয়ে দিল ‘টাইম ম্যাগাজিন’-এর ২০১৭ সালের নেক্সট জেনারেশন লিডারস-এর তালিকা। সম্প্রতি প্রকাশিত এই তালিকায় ‘স্টার ওয়ারস’-অভিনেতা জন বোয়েগা, সাউথ আফ্রিকার কমেডিয়ান ট্রেভর নোয়া-র মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে উঠে এসেছে ভারতের গুরমেহের কাউরের নামও।

গত ফেব্রুয়ারিতেই অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের বিরোধিতা করে সংবাদ শিরোনামে আসেন গুরমেহের। শুরু হয় এক অসম লড়াই। কারগিল-শহিদ ক্যাপটেন মনদীপ সিংয়ের কন্যা গুরমেহের কথা বলতে চেয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ভাষায়, নতুন পৃথিবীর ইডিয়মে।

বর্তমান ভারতবর্ষে তা ছিল একান্ত বেমানান। তাই তাকে ‘দেশদ্রোহী’ প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লাগেন স্বঘোষিত জাতীয়তাবাদীরা। কিন্তু ‘টাইমস ম্যাগাজিন’-এর এই স্বীকৃতি প্রমাণ করল, পৃথিবী বদলেছে। হয়তো একদিন গুরমেহেরের মতো মানুষই দেশকে দিশা দেখাবেন।