এই শিশু ধর্ষণকারীকে খুঁজছে পুলিশ

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভনে ৬ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করা হয়। বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে পরে ওই শিশুকে ধর্ষণের পর থেকে পলাতক রয়েছেন পঞ্চাশার্ধ বয়সী ধর্ষক আব্দুল মালেক।

গুরুতর জখম অবস্থায় ওই শিশুকে বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গোপীনাথপুর গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালকের ওই শিশুকন্যা বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় বাড়ির পাশের আব্দুল মালেক ওই শিশুকে চকলেট খেতে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে।

প্রতিবেশীরা জানান, কয়েক দিন ধরে আব্দুল মালেকের স্ত্রী বাড়ি নেই। এই সুযোগে মালেক চকলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ওই শিশুকে তার বাড়ি নিয়ে যায়। এরপর তাকে একটি ঘরে নিয়ে উপর্যপুরী ধর্ষণ করে।

নির্যাতিত শিশুর মা জানান, উপর্যপুরী ধর্ষণের কারণে ঘটনার দিনরাতে আমার মেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে সে তার মামীর কাছে ঘটনার বর্ণনা দেয়। সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে পালিয়ে যায় ধর্ষক আব্দুল মালেক। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ওই শিশুকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

হাসপাতালের গাইনি কনসালটেন্ট ডা. আকলিমা খাতুন ওই শিশুটিকে চিকিৎসার পাশাপাশি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছেন।

খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুটে যান পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) আবুল বাশার ও চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। এ সময় তারা নির্যাতিত শিশুর পরিবারের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনেন।

পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে নির্যাতিত ওই শিশুটির চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত করছি। একই সঙ্গে ধর্ষক আব্দুল মালেককে গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে নেমেছে। খুব শীঘ্রই আমরা ধর্ষক মালেককে গ্রেফতারে সক্ষম হবো।

শুক্রবার সকালে নির্যাতিত শিশুর মা বাদী হয়ে ধর্ষক আব্দুল মালেকের নামে সদর থানাতে মামলা দায়ের করেন।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন ধর্ষক মালেককে গ্রেফতারে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করে যাচ্ছে।