একই দিনে পুলিশের দুই চেহারা

ক্ষুব্ধ স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। সহপাঠির মৃত্যু কোনওভাবেই যেন মেনে নিতে পারছে না তারা। শোক-ক্ষোভ মিলেমিশে একাকার। এমন অবস্থায় ক্লাসে মনোযোগ থাকে না। পথে নেমে আসে তারা। আর পথে নেমেই মুখোমুখী হতে হয় পুলিশের।

বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়া হাজার হাজার শিক্ষার্থী রবিবারের মতো সোমবার সকালেও বিমানবন্দর সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করে। মঙ্গলবারও একই দৃশ্য চোখে পড়ে। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকেও শিক্ষার্থীরা দলে দলে এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।

কিন্তু অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার পুলিশ নিশ্চুপ ছিল না। আজ ঢাকার বেশ কয়েক জায়গায় লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেসব ঘটনার ছবি ও ভিডিও ঘুরে ফিরছে। মিরপুরে শহীদ স্মৃতি পুলিশ কলেজের ছাত্রদের অবরোধকালে পুলিশের লাঠিচার্জে মাথা ফেটে যায় এক শিক্ষার্থীর- এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ছবি ভাইরাল হয়।

এয়ারপোর্টে রোডে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। পুলিশ এসে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একইদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যেসব লাঠি চার্জ ও আন্দোলনের ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর মধ্যে একইদিনে পুলিশের দুই চিত্র সবাইকে অবাক করেছে। এক দিকে পুলিশ যেমন এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও কলার চেপে ধরে শাসিয়ে দিচ্ছে, অন্যদিকে আরেক ভাইরাল ছবিতে দেখা যায় পুলিশ এক শিক্ষার্থীকে বুকে জড়িয়ে নিয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই নেটিজেনদের মধ্যে ছবি দু’টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। একদিকে যেমন পুলিশের সমালোচনা চলছে অন্যদিকে পুলিশের ইতিবাচক চেহারার ছবি এনে সকল পুলিশ সদস্যদের এমন মানবিক হওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। রাজধানীর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা পুলিশের হাতে ফুল তুলে দেয়। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে বাধ্য হয়। অন্যদিকে রমিজ শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ ও শহীদ স্মৃতি কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ চড়াও হয়।