‘একটি দল না আসায় উপজেলা নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি’

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুটি বড় দলের একটি অংশগ্রহণ না করায় নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক হয়নি। অবশ্য নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়া রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে নির্বাচন কমিশনের করার কিছু নেই।’

বুধবার বিকালে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দেশব্যাপী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে দাবি করে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনার প্রধান হাতিয়ার হলো ভোটার। নির্বাচনের দিন ভোটাররা কেন্দ্রে আসার পর যাতে কোনো রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হয় সে বিষয়টির প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে।’

আগামী ৩১ মার্চ নোয়াখালীর সাতটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে এমন আশা প্রকাশ করে সিইসি বলেন, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন ও চলতি মাস থেকে শুরু হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। উপজেলা নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। এটিও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। নির্বাচন একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া। এ নির্বাচনে কোনো প্রকার অনিয়ম বরদাশত করা হবে না।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘কোথাও ভোট কারচুপি, ব্যালট পেপার ছিনতাই কিংবা জোরপূর্বক ব্যালট পেপার বাক্সে ভর্তি করার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে ওই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হবে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কঠোর ভূমিকা রাখবে।’

নোয়াখালীর মানুষের প্রশংসা করে কেএম নুরুল হুদা বলেন, ‘সামাজিক শিক্ষা দীক্ষা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসহ দেশ পরিচালনায় নোয়াখালীবাসীর অবদান প্রশংসনীয়। নোয়াখালীতে এটিই আমার প্রথম সফর। নোয়াখালীর পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম এবং নোয়াখালীর মানুষ অতিথি পরায়ন।’

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক তন্ময় দাসের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মাহে আলম, কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদার, র‌্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নরেশ চাকমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবু ইউসুপ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ হাছান জনি, ফাহমিদা কাদের চৌধুরী, মো. শাহজাহান শেখ, ডিজিএফআই এনএসআই এর উপ-পরিচালক, সাত উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন থানার ওসিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।