একি এক অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরলেন তাইজুল!

দৃষ্টিতে ভেসে থাকার মত একটি ফিল্ডিং। বাজপাখির মত ডান পাশে ঝাঁপ দিয়ে আকাশে উঠে গেলেন তাইজুল ইসলাম। শূন্যে থেকেই দুই হাতের তালুতে লুফে নিলেন বলটি। অবিশ্বাস্য, অসাধারণ বললেও কম বলা হবে যেন তাইজুলের ক্যাচটি। ১১০ রানে থাকা ব্রেন্ডন টেলরকে এ ধরনের ক্যাচ দিয়ে ফিরিয়ে দেয়ার মধ্যেই যেন সারাদিনের সাফল্য বেধে রাখা থাকলো।

ব্রেন্ডন টেলর রীতিমত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন। সেঞ্চুরিও করে ফেলেছিলেন। ৫২২ রান করার পরও যখন বাংলাদেশের হাত থেকে ধীরে ধীরে ম্যাচটা বের করে আনছিলেন জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান টেলর, তখন প্রয়োজন ছিল তাকে ফেরানো।

টেলরের সঙ্গে ভয়ঙ্কর জুটি গড়েন পিটার মুরও। তাদের গড়া ১৩৯ রানের জুটি ধীরে ধীরে যখন আশা মিইয়ে দিচ্ছিল, তখনই আঘাত হেনেছিলেন আরিফুল হক। পিটার মুরকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ৮৩ রান করে ফেরেন পিটার মুর।

কিন্তু বিপজ্জনক ছিলেন ব্রেন্ডন টেলর। ১১০ রানের ইনিংস খেলে তিনিই জিম্বাবুয়েকে টানছিলেন সামনের পথে। শেষ বিকেলে আশা ছিল স্পিনাররা টার্ন পাবেন, ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলবেন। সেটাই পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে তার বোলিংয়ের চেয়ে ব্রেন্ডন টেলরের উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব যে সবচেয়ে বেশি বোলার তাইজুল ইসলামের!

বোলার হয়তো ডেলিভারিটি দিলেন। কিন্তু ফিল্ডর যদি ঠিকভাবে ক্যাচ নিতে না পারেন! অভিষিক্ত খালেদ আহমেদের বলে তো দুটি ক্যাচ মিস হয়েছিল! তাতে বাংলাদেশেরই ক্ষতি, কিন্তু কিছু করার নেই। এমন পরিস্থিতিতে বোলার মিরাজ বলে করে যাচ্ছেন। ৯৯তম ওভারের প্রথম বলটিতেই টেলরকে ফিরিয়ে দিলেন তিনি।

মিরাজের বলে স্লগ সুইপ খেললেন টেলর। বল চলে গেলো লং লেগ অঞ্চলে। সেখানে ঠিক বলের নাগালের বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তাইজুল। কিন্তু ডান দিকে নিজেকে বাতাসে ভাসিয়ে দিয়ে তিনি যে ক্যাচটি ধরলেন, সেটা চোখে না দেখলে কারও বিশ্বাস হওয়ার কথা নয়। অবিশ্বাস্য সেই ক্যাচটি ধরেই জিম্বাবুয়ের আশার প্রতীক হয়ে ওঠা টেলরকে ফেরালেন তাইজুল। আশা ফিরলো তখন বাংলাদেশ শিবিরেও।