একেই বলে পাকা সড়ক?

ময়মনসিংহে এলজিইডির তৈরি গ্রামীণ সব সড়কের বেহালদশা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এসব সড়ক এখন চলাচলের অনুপযোগী। এলজিইডি কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করলেও এখন আর সংস্কার করেন না তারা। স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরা বলছেন, গ্রামাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা সংস্কার করার সামর্থ্য তাদের নেই।

ময়মনসিংহের গ্রামাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নির্মিত স্থানীয় সরকার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ- এলজিইডির গ্রামীণ সব সড়কের এখন বেহাল অবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে ভরা এসব সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পাকা সড়ক পরিণত হয়েছে কাদা মাটির সড়কে। প্রায় প্রতিদিনই সড়কে বিকল হচ্ছে যানবাহন। ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ভোগে নাকাল হলেও এ নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এলজিইডি উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক সংস্কার করলেও গ্রামীণ সড়ক সংস্কার বন্ধ করে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসীর একজন বলেন, ‘চলাফেরা করা যায় না এই রাস্তা দিয়ে।

গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা থাকলেও এনিয়ে তাদের কোনো দায় নেই বলে জানান ময়মনসিংহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী। গ্রামীণ সড়কগুলো স্থানীয় সরকার ইনিস্টিটিউটে হস্তান্তর করে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম ইসমত কিবরিয়া বলেন, ‘ফান্ড যদি পর্যাপ্ত পাওয়া না যায় তবে কোনদিনই সব রাস্তা ভাল আছে এমন পাওয়া যাবে না।

স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরা বলছেন, গ্রামাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কার করার সামর্থ্য তাদের নেই। এলজিইডির তৈরি সড়ক তাদেরকেই সংস্কার করতে হবে।

ধানীখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আসাদ উল্লাহ বলেন, বার বার আমরা এটা উঠাই, আমাদের যদি রাস্তা নষ্ট থাকে ৭টা, তার মধ্যে ঠিক করে দেয় একটা, এভাবে করে ৭টা রাস্তা ৭ বছর ধরে ঠিক করা লাগে।’

ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘একটা রাস্তা সংস্কার করতে গেলে কমপক্ষে ৭০-৮০ লাখ টাকা লাগে। এভাবে একেকটা ইউনিয়নে অনেক রাস্তা। এভাবে সংস্কার করা আদৌ সম্ভব না।

জেলায় প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ করেছে এলজিইডি। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক। আর গ্রামীণ সড়ক বাকি দেড় হাজার কিলোমিটার।