একে অপরকে ভোট দেননি মেসি-রোনালদো

দুজনে একে অপরকে মুখে মুখে এগিয়ে রাখলেও ভোটের বাক্সে কেউ কাউকে খুঁজে পান না। ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার মেসি-রোনালদোর মধ্যেই ভাগাভাগি হয়ে আসছে গত এক দশক ধরে। কিন্তু তারা সেরা হিসেবে কখনোই দুজনকে বেছে নেননি। মেসি ভোট দেননি রোনালদোকে। আবার রোনালদোও ভোট দেননি মেসিকে। এই ধারা এবারও অব্যাহত।

ফিফার সদস্য প্রতিটি দেশের জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক ও একজন নির্বাচিত সাংবাদিক এই ভোট দিতে পারেন। প্রত্যেক ভোটারই সেরা হিসেবে ক্রমান্বয়ে তিনজনকে বেছে নিতে পারেন। রোনালদো এবার তার সেরা তিনটি ভোট দিয়েছেন রিয়াল সতীর্থ লুকা মডরিচ, সার্জিও রামোস ও মার্সেলোকে।

মেসির তিন ভোট পেয়েছেন যথাক্রমে লুইস সুয়ারেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও নেইমার। ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্লাব পাল্টালেও তাদের বন্ধুত্ব যে অটুট আছে তার প্রমাণও পাওয়া গেল এই ভোটে।

নেইমারের অবশ্য ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। যে সময় ব্রাজিল ভোট দিয়েছিল, অধিনায়ক ছিলেন দানি আলভেস। তিনি তিনটি ভোট দিয়েছেন যথাক্রমে নেইমার, মেসি ও রোনালদোকে। ক্রোইশিয়া ও স্পেন অধিনায়ক মডরিচ ও রামোস দুজনেই প্রথম দিয়েছেন রোনালদোকে। আর তাদের দ্বিতীয় পছন্দের ভোট দিয়েছেন মেসিকে।

স্পেনের কোচ জুলিয়ান লোপেতেগি ভোট দিয়েছেন রামোস, দানি কাভাহাল ও ইনিয়েস্তাকে। আর আর্জেন্টিনা কোচ হোর্হে সাম্পাওলির ভোট পেয়েছেন মেসি, রোনালদো এবাং মার্সেলো।

কলম্বিয়া কোচ হোসে পেকারম্যান তার নিজ দলের স্ট্রাইকার জেমস রদ্রিগেজকেও সেরা তালিকায় রাখেননি। তিনি ভোট দিয়েছেন মেসিকে এবং রোনালদো এবং নেইমারের চেয়ে এগিয়ে রেখেছেন মডরিচ ও রবের্তো লেভানডফস্কিকে।

ইংল্যান্ডের অধিনায়ক গ্যারেথ সাউথগেটের ভোট পড়েছে অল-মাদ্রিদে। তার ভোট পেয়েছেন রোনালদো, মডরিচ ও টনি ক্রুজ। ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশমও নিজ দেশের কাউকে ভোট দেননি। ফরাসি কোচের ভোট পেয়েছেন রোনালদো, নেইমার ও বুফন।

জার্মান কোচ জোয়াকিম লো ভোট দিয়েছেন, ক্রুজ , নয়্যার ও নেইমারকে। পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোসের ভোট পেয়েছেন রোনালদো, মডরিচ ও মেসিকে।