এক সপ্তাহ আগে বাড়িটি ভাড়া নেয় ‘জঙ্গিরা’

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাত্র ১০ গজ দূরত্বে ‘চৌধুরী ম্যানসন’ নামের বাড়িটি। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথও বেশি দূরে নয়। স্পর্শকাতর এমন জায়গায় ‘জঙ্গিরা’ বাড়িটি ভাড়া নেয় মাত্র এক সপ্তাহ আগে। র‌্যাবের দাবি, চট্টগ্রামে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যে বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন তারা। গড়ে তুলেছিলেন অস্ত্রের মজুদ।

শুক্রবার (৫ অক্টোবর) ভোররাত সাড়ে ৩টা থেকে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার সোনা পাহাড় গ্রামের ‘চৌধুরী ম্যানসন’ নামে ওই বাড়িতে অভিযান শুরু করে র‌্যাব-৭। অভিযান শুরুর পর র‌্যাবের সঙ্গে গুলি বিনিময় ও বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

বাড়িটিতে শক্তিশালী বোমা ও অস্ত্র মজুদ থাকতে পারে ধারণা করে ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে চট্টগ্রাম নেয়া হয়েছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট যাওয়ার পর সকালে আবারও অভিযান শুরু করেছে র‌্যাব।

সূত্র জানায়, ‘জঙ্গিদের আস্তানা’ হিসেবে ভাড়া নেয়া ‘চৌধুরী ম্যানসন’ বাড়ির মালিক কোনো কাগজপত্র বা জাতীয় পরিচয়পত্র জমা না নিয়েই গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভাড়া দেন। এলাকার মানুষ জানত একজন অসুস্থ মহিলা এ বাড়িতে থাকেন। এখানে ‘জঙ্গিরা আস্তানা’ গড়ে তুলতে পারে তা কারো ধারণা ছিল না।

র‌্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার সাফায়াত জামিল ফাহিম জানান, কয়েকদিন আগে ‘জঙ্গি’ সদস্যদের এ বাড়ি ভাড়া নেয়ার তথ্য র‌্যাবের কাছে আসে। র‌্যাব জানতে পারে, চট্টগ্রামে বড় ধরনের জঙ্গি হামলার লক্ষ্যে একজন নারীসহ অন্তত চার সদস্যের একটি দল এ বাড়ি ভাড়া নিয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোররাতে একতলা এ বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব-৭।

তিনি আরও জানান, অভিযানের শুরুতে রাত সাড়ে ৩টার দিকে প্রথমে বাড়িটি ঘিরে ফেলা হয়। এ সময় র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে বাড়ির ভেতর থেকে গুলি ছোড়া হয়। র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়ে। রাত ৪টার দিকে বাড়ির ভেতরে বিকট শব্দে তিন-চারটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এতে বাড়িটির ছাদের একটি বড় অংশ উড়ে প্রায় ৩০ গজ দূরে পরে। ধারণা করা হচ্ছে, বাড়ির ভেতরে থাকা ‘জঙ্গি’দের কেউ বেঁচে নেই।

তবে বাড়িটিতে এখনো শক্তিশালি বোমা ও অস্ত্র থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে চট্টগ্রাম আনা হয়েছে।