এক সপ্তাহ ধরে গ্যাস সংকট, চরম ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী

রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকাজুড়েই এক সপ্তাহ ধরে প্রকট আকার ধারণ করেছে গ্যাস সংকট। শিল্প কারখানা আর সিএনজি স্টেশনেও গ্যাসের চাপ তুলনামূলক কম। কর্তৃপক্ষ বলছে, বঙ্গোসাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়ায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে, যা কাটাতে আরো সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে। এ অবস্থায় আবাসিকে পরিস্থিতি সহনীয় রাখতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে সার কারখানা ও বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে। তবে এলএনজি টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটির দায় জ্বালানি বিভাগ এড়াতে পারে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

সকাল-সন্ধ্যা, দুপুর কিংবা রাত। গ্যাসের সংকট লেগেই আছে সারক্ষণ। কখনো বা একেবারেই জ্বলছে না চুলা, আবার কখনো জ্বলছে টিমটিম করে। গত কয়েক দিন ধরে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজধানীর যাত্রবাড়ি, পুরান ঢাকা, হাজারীবাগ মোহাম্মদপুর, মিরপুর , উত্তরখান, দক্ষিণখান এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকার বাসাবাড়িতে।

গ্যাস না থাকায় ভোগান্তির কথা জানিয়ে অনেকেই ক্ষোভ জানাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। চাপ কম, তাই পর্যাপ্ত গ্যাস মিলছে না শিল্প কারখানা আর সিএনজি ফিলিং স্টেশনেও।

সংকটের কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ বলছে, কারিগরি ত্রুটির কারণে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে বন্ধ রয়েছে গ্যাস সরবরাহ। এতে করে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আগের তুলনায় দৈনিক ৩০ কোটি ঘনফুট কম গ্যাস।

এ অবস্থায় আবাসিকসহ অন্যান্য খাতে পরিস্থিতি উন্নতি করতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে সার কারখানা আর বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্রে। সপ্তাহ ব্যবধানে গ্যাসের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখার পরিমাণ ৯০০ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে দেড় হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে।

এলএনজি টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটির জন্য জ্বালানি বিভাগ দায় এড়াতে পারে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বেসরকারি খাতের এলপিজি ব্যবসাকে উৎসাহিত করতে কৃত্রিমভাবে গ্যাস সংকট তৈরি করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন এই বিশেষজ্ঞ।