এবারও ভালো করেছে মেয়েরা

উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবারও পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। ১০টি বোর্ডে গড়ে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের ফলাফল ভালো। ছাত্রীদের পাসের হার ৬৯.৭২ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৬৩.৮৮ শতাংশ।

এর আগে সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফল হস্তান্তর করা হয়।

গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

এবার পাসের হার ৬৬.৬৪ শতাংশ। মোট পাস করেছে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮০১ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন। গত বছর পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩৭ হাজার ৭২৬ জন।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। যা গত বছরের তুলনায় এক লাখ ২৫ হাজার ৩৮৭ জন বেশি। এবার শিক্ষার্থী বাড়লেও গতবছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ২.২৭ শতাংশ।

কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট পাসের হার ৭৫.৫০ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ১৮ হাজার। এর মধ্যে পাস করেছে ৮৯ হাজার ৮৯ জন। জিপিও পাঁচ পেয়েছে দুই হাজার ৪৫৬ জন।

মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে ৯৭ হাজার ৭৯৩জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পাস করেছে ৭৬ হাজার ৯৩২ জন। পাসের হার ৭৮.৬৭ শতাংশ। মোট জিপিও পাঁচ পেয়েছে এক হাজার ২৪৪জন।

দুপুর ১টায় সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সংবাদ সম্মেলনে ফল প্রকাশের ঘোষণা দেবেন।

দুপুর দেড়টা থেকে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (http://www.educationboard.gov.bd) থেকে ফল জানতে পারবে।

এছাড়া এসএমএস ও অনলাইনে ফল জানা যাবে।

এবার পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৮ দিনে ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ২ এপ্রিল। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে ১৩ মে পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ২৩ মের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।

সারা দেশে ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

এর মধ্যে সাধারণ আট বোর্ডে শিক্ষার্থী ছিল ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ জন।

মাদ্রাসা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ১২৭ জন।

কারিগরি বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৪ পরীক্ষার্থী ছিল।