এবারের নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী শেরপুরের ডা. সানসিলা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-১ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন। তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর মেয়ে। এ আসনে গত ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত বিএনপি থেকে চারজনের মনোনয়নপত্র দাখিল করা হলেও তিনজনেরই বাতিল হয়েছে।

জেলা রিটার্নিং অফিসারের মিডিয়া সেল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি প্রতিবেদনে ঋণখেলাপি এবং অপর দুই প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ফজলুল কাদের দলীয় মনোনয়ন না থাকায় বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে পারবেন না। এদিকে হযরত আলী কারাগারে থাকায় তফসিল ঘোষণার পর থেকেই মাঠে সরব হয়েছে হযরত আলীর পরিবার ও তার দল বিএনপি।

১৪টি ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সাথে চলছে নিয়মিত আলোচনা। জোটের স্বার্থে বিগত চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেরপুর-১ আসনটি জামায়াতকে ছেড়ে দিলেও জয়ের মুখ দেখেনি। যে কারণে ধানের শীষ প্রতীকে গত ২২ বছরে কোনো প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। কিন্তু জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকরের পর সদর আসনে নতুন করে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করে বিএনপি।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করলেও ঋণখেলাপি থাকায় তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়।

বিএনপি থেকে মনোনয়নপত্রের চূড়ান্ত চিঠি পাওয়ার আগে এই আসনে বেশ কয়েকজন প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও সর্বশেষ এ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চারবারের এমপি ও হেভিওয়েট প্রার্থী হুইপ আতিউর রহমান আতিকের বিপক্ষে লড়বেন হযরত আলীর মেয়ে সানসিলা জেবরিন। তিনি পেশায় ডাক্তার এবং রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রভাষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

শেরপুর-১ (সদর) আসনে প্রার্থিতা বিষয়ে গত ৩ নভেম্বর ডা. সানসিলা জেবরিন সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘ সময় পর এ আসনে বিএনপি থেকে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। এটা অনেক আনন্দের ব্যাপার। এ ছাড়া এ আসনে ধানের শীষের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। এদিকে এ আসনে আওয়ামী লীগের একজন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। উনি শ্রদ্ধার একজন মানুষ, উনার কাছে শেখার অনেক কিছু আছে। নিজেকে অনেক লাকি মনে করছি, কারণ সর্বকনিষ্ঠ একজন প্রার্থী হিসেবে উনার বিপক্ষে প্রতিযোগিতা করব এবং আমি মনে করি রাজনীতিতে হার-জিত থাকবেই। যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তবে ১৪০টি কেন্দ্রেই ধানের শীষের জয় হবেই ইনশাআল্লাহ।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, তাহলে আমার প্রথম কাজ হবে, শেরপুরে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন ও শেরপুরকে একটি মডেল শহর হিসেবে গড়ে তোলা।

ইতোমধ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন বিএনপির নতুন মুখ সানসিলা জেবরিন। সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে তিনি শেরপুর-১ সদর আসনে আওয়ামী লীগের চারবারের এমপি হুইপ আতিউর রহমান আতিক, জাতীয় পার্টির ইলিয়াস উদ্দিন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জহির রায়হান, ইসলামী আন্দোলনের মতিউর রহমান, কমিউনিস্ট পার্টির আফিল শেখের বিপক্ষে নির্বাচনে লড়বেন।