এবার চাকরি হারালেন ট্রাম্পের ‘চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট’

ট্রাম্প প্রশাসনের বরখাস্তের তালিকায় এবার যুক্ত হলেন হোয়াইট হাউজে ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী হিসেবে পরিচিত প্রভাবশালী ‘চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট’ স্টিভ ব্যানন। তাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের অন্যতম রূপকার বলা হয়।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সারা স্যান্ডার্স নিশ্চিত করেছেন, স্টিভ ব্যাননের শুক্রবারই ছিল শেষ কর্মদিবস।

চিফ অব স্টাফ জন কেলির সঙ্গে আলোচনার পরই চাকরি থেকে বিদায় নেন স্টিভ ব্যানন।

বলা হয়ে থাকে, নির্বাচনী প্রচারের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি তুলে ধরেছিলেন, তার নেপথ্যের কারিগর ছিলেন ব্যানন। আর এ কারণেই ক্ষমতায় আসার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে তাঁর জন্য এই পদটি তৈরি করেছিলেন।

উগ্র ডানপন্থী সংবাদমাধ্যম ব্রাইবার্ট নিউজের সাবেক প্রধান ব্যানন এন্টি-সেমেটিক এবং শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন বলেও সমালোচকদের অভিযোগ রয়েছে। ৬৩ বছর বয়স্ক ব্যানন হোয়াইট হাউজের অন্য প্রভাবশালী এমনকি ট্রাম্প পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও মতবিরোধে জড়িয়ে পড়েছিলেন।

বিদায়ের সময় ব্যানন ব্লুমবার্গ টিভি নেটওয়ার্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করে যাচ্ছি। আমি ট্রাম্পের পক্ষ নিয়ে তাঁর বিরোধীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাব।’

এর আগে গত জুলাই মাসেই ট্রাম্প প্রশাসন থেকে চলে যেতে হয় যোগাযোগ উপদেষ্টা অ্যান্থনি স্কারামুচি, চিফ অব স্টাফ রায়ান্স প্রিবাস এবং মুখপাত্র শন স্পাইসারকে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর পরই চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন এফবিআই ডিরেক্টর জেমস কোমি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে।