‘এবার প্রতিটি ইউনিয়নেও হবে পহেলা বৈশাখের র‌্যালি’

পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সারাদেশেও সরকারি উদ্যোগে প্রতিটি ইউনিয়নে র‌্যালি করা হবে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দেবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে ছায়ানট।

বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেস্কো কর্তৃক এটিকে ‘Intangible Cultural Heritage’-এ অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে এদিন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।

এছাড়া সব জেলায় কুইজ প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকজ মেলার আয়োজন করবে স্থানীয় প্রশাসন। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্ব-স্ব ব্যবস্থাপনায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হবে।

বাংলা নববর্ষে সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। শিশু পরিবারের শিশুদের নিয়ে ও কারাবন্দিদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে এবং কয়েদিদের তৈরি বিভিন্ন দ্রব্যাদি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে।

সব জাদুঘর ও প্রত্নস্থান সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে এবং শিশু-কিশোর, ছাত্র-ছাত্রী, প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশুদের বিনা টিকিটে প্রবেশ করতে পারবে।

বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। অভিজাত হোটেল ও ক্লাব বিশেষ অনুষ্ঠানমালা ও ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করবে।

বাংলা নববর্ষ উদযাপনকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারাদেশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।