এবার বিপজ্জনকভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইয়াবা আনার চেষ্টা

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে এবার বিপজ্জনকভাবে গভীর সাগর পাড়ি দিয়ে ইয়াবার চালান আনার চেষ্টা করছে পাচারকারীরা। আগে মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ হয়ে চট্টগ্রামকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

কিন্তু নতুন রুটে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সরাসরি ইঞ্জিন চালিত বোট ব্যবহার করে ইয়াবা নেয়ার চেষ্টা চলছে বরিশাল, পিরোজপুর এবং ঝালকাটিতে। সম্প্রতি গভীর সাগর থেকে র‌্যাবের অভিযানে তিনটি চালান আটকের পর বের হয়ে আসে এ তথ্য।

মূলত বাংলাদেশে ইয়াবা পাচারের রুট মিয়ানমার সীমান্ত থেকে প্রথমে টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ। এরপর সড়ক পথে চট্টগ্রাম। শেষ পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে।

কিন্তু বতর্মানে টেকনাফ উপকূল থেকে ইয়াবা নিয়ে ইঞ্জিন চালিত কাঠের বোটগুলো সরাসরি চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি এবং ভোলার উপকুলে।

গত এক বছরে গভীর সাগর থেকে ৬টি চালানে ৮৫ লাখ ইয়াবা জব্দ করেছে র‌্যাব। প্রতিটি চালান আটকের সময় গভীর সাগরে ইয়াবাবাহী বোটগুলোকে ধাওয়া করে র‌্যাব। ইয়াবা পাচারকারীরা মাদক বিরোধী অভিযানের কারণে নতুন রুট খুঁজছে বলে মনে করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

র‍্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কয়েকটা চালান ধরার পরে এখন তারা বরিশাল খুলনার রুট ব্যবহার করছে।’

সিএমপি কমিশনার মো.মাহবুবর রহমান বলেন, ‘আমরা তৎপর বলেই তারা সড়ক পথ ছেড়ে নৌপথ ব্যবহার করছে।’

শক্তিশালী ফিশিং বোট দিয়ে কক্সবাজার উপকূল থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল এবং পটুয়াখালী থেকে ৩০ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে পর্যন্ত মাছ ধরা যায়।

কিন্তু ইয়াবাবাহী কাঠের নৌকাগুলো সমপরিমাণ দূরত্ব কিংবা তার চেয়ে বেশি দূরত্ব দিয়ে অতিক্রম করতে গেলে নানা ধরনের বিপদে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। আবার মাছ ধরা ট্রলারের আড়ালে ইয়াবাবাহী নৌকাগুলো শনাক্ত করা অনেকটা কঠিন।

এ অবস্হায় ইয়াবা পাচার রোধে বরিশাল, ঝালকাঠি এবং ভোলাতেও চেকপোষ্ট স্থাপনের তাগিদ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের।

র‌্যাব বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে চলতি বছর ৪৫ লাখ ২৯ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে ৭৯২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে।