এবার সোশ্যাল মিডিয়ার পেছনে লাগলেন ট্রাম্প

এবার সোশ্যাল মিডিয়ার পেছনে লাগলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মূলধারার গণমাধ্যমের মতো এখানেও সেই একই রকম ‘বৈষম্যের’ অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। শনিবার এক টুইটে সোশ্যাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে নতুন এই অভিযোগ আনলেন ট্রাম্প।

সকালের ওই সিরিজ টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, সোশ্যাল মিডিয়াগুলো ‘রিপাবলিকান ও কনজারভেটিভদের কণ্ঠ রুখতে পুরোপুরি বৈষম্য’ করছে। একই টুইটে তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে উচ্চস্বরে ও স্পষ্টভাবে কথা বলার মতো ঘটনা ঘটছে কিন্তু এমনটা হতে দেব না। খবর ডেইলি মেইলের।

তিনি লেখেন, ঠিক রাস্তায় আছে এমন অনেকের মত প্রকাশ তারা (সোশ্যাল মিডিয়া) বন্ধ করে দিচ্ছে, যখন অন্যদের ক্ষেত্রে কিছুই করছে না। আরেক টুইট বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, সেন্সরশিপ খুবই খারাপ এবং নজরদারি করা পুরোপুরি অসম্ভব।

তিনি লেখেন, যদি আপনি মিথ্যা খবর খোঁজা শুরু করেন, তাহলে সিএনএন এবং এমএসএনবিসি-র মতো ভুয়া সংবাদমাধ্যম আর কোনোটিই নয়। কিন্তু আমি তাদের মিথ্যা সংবাদ সরিয়ে দিতে বলি না।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লেখেন, আমি মিথ্যা সংবাদে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি এবং এগুলো সত্য নয় এমন মনে করে কখনও দেখি আবার কখনও দেখি না। তিনি লেখেন, অনেক কণ্ঠই রোধ করা হচ্ছে, কিছু ভালো এবং কিছু খারাপ এবং এটা ঘটতে দেয়া যায় না।

ক্ষোভ প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, কার কণ্ঠরোধ করা হবে আর কারটা নয় এই সিদ্ধান্ত কে নেয়, কারণ আমি এখনই বলতে পারি যে অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সবার কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লেখেন, ভালো এবং খারাপ সবাই অংশগ্রহণ করুক এবং কে ভালো বা খারাপ তা আমরা সবাই মিলে বের করব।

আরও অনেকের মতো অ্যালেক্স জোন্সও মনে করেন ২০১২ সালে স্যান্ডি হুক এলিমেন্টরি স্কুলে গণবন্দুক হামলা চোখের ধোঁকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেন হঠাৎ করে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর চটেছেন তা স্পষ্ট নয়। তবে সম্প্রতি বিতর্কিত ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক অ্যালেক্স জোন্সের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল, ফেসবুক, স্পটিফাই এবং অ্যাপল। ধারণা করা হচ্ছে এ ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করেই এমন মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।

এর আগে চলতি সপ্তাহে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ জোন্স ও তার ওয়েবসাইট ইনফোওয়ার্সকে সাতদিনের জন্য নিষিদ্ধ করে টুইটার।