এবার ৩৬৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকার রেকর্ড

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুঃস্বপ্নের বোলিং চলছেই বাংলাদেশের। দুই টেস্ট এবং প্রথম দুই ওয়ানডের পর শেষ ওয়ানডে ম্যাচেও লজ্জার বোলিং। আবারও বাংলাদেশের বোলিংকে পাড়া মহল্লার বোলিংয়ে নামিয়ে আনলো প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ৩৬৯ রানের পাহাড় গড়ে তুলেছে স্বাগতিকরা।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটা দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৫৮।

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে হলে এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের কোনও বিকল্প নেই। কারণ, সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে কুইন্টন ডি কক ৭৩, ফাফ ডু প্লেসিস ৯১ ও এইডেন মার্করাম ৬৬ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ ২টি, তাসকিন আহমেদ ২টি ও রুবেল হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।

ইস্ট লন্ডনে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ হন টেম্বা বাভুমা। তিনি করেন ৪৮ রান।

এরপর দলীয় ১৩২ রানে কুইন্টন ডি কককে ফেরান মিরাজ। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন তিনি। ডি কক করেন ৭৩ রান। ৪১তম ওভারের প্রথম বলে রান নিতে গিয়ে ইনজুরি পেয়ে মাঠ ছাড়েন ফাফ ডু প্লেসিস। ৬৭ বল খেলে ৯১ রান করেন তিনি। একই ওভারের শেষ বলে রান আউট হন ওয়ানডেতে আজ অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা এইডেন মার্করাম। তিনি করেন ৬৬ রান।

দক্ষিণ আফ্রিকার দলীয় রান যখন ৩২৫ তখন রুবেল হোসেনের বলে মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতে ক্যাচ হন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ১৫ বল খেলে ২০ রান করেন তিনি। ইনিংসের ৪৭তম ওভারে দুইটি উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। ওভারের প্রথম বলে উইয়ান মাল্ডার ও শেষ বলে আন্দিল ফেহলাকওয়েওকে সাজঘরে ফেরান তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস: ৩৬৯/৬ (৫০ ওভার)

(টেম্বা বাভুমা ৪৮, কুইন্টন ডি কক ৭৩, ফাফ ডু প্লেসিস ৯১, এইডেন মার্করাম ৬৬, এবি ডি ভিলিয়ার্স ২০, ফারহান বিহারডাইন ৩৩*, উইয়ান মাল্ডার ২, আন্দিল ফেহলাকওয়েও ৫, কাগিসো রাবাদা ২৩*; মাশরাফি বিন মর্তুজা ০/৬৯, মেহেদী হাসান মিরাজ ২/৫৯, রুবেল হোসেন ১/৭৫, সাকিব আল হাসান ০/৫৬, তাসকিন আহমেদ ২/৬৬, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ০/৩৩, সাব্বির রহমান ০/৮)।