এমপি একাই জবাই দিচ্ছেন ২১০ গরু

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে ২১০টি গরু জবাই দিয়ে কাঙালি ভোজের আয়োজন করেছেন নোয়াখালী-৪ সদর-সুবর্ণচর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। গত বছর ১২০টি গরু দিয়ে এ আয়োজন করা হলেও এবার তা বাড়িয়ে ২১০টি করা হয়েছে।

জাতির পিতার শাহাদতবার্ষিকীতে একসঙ্গে এত গরু দিয়ে বিশেষ ভোজের আয়োজন করায় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনায় রয়েছেন তিনি। প্রতি বছরই শোক দিবসে তিনি নিজের তহবিল থেকে বিশেষ এ ভোজের ব্যবস্থা করে আসছেন।

একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন না হলে আমি কৃষকের ছেলে কথনো এদেশের এমপি হতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধু দেশের জন্য যা করে গেছেন আমরা রক্ত দিয়েও তার সেই ঋণ কখনো শোধ করতে পারব না। তার প্রতি আমার অন্যরকম আবেগ, সম্মান এবং ভালোবাসা রয়েছে। যা বলে বুঝাতে পারব না।

তিনি বলেন, এমপি হওয়ার পর থেকে বিশেষ করে গত ৯ বছর ধরে শোক দিবসে এমন ধরনের আয়োজন করতে বিন্দুমাত্র কৃপণতা করি না। কারণ বঙ্গবন্ধু আমাদের পিতা। আর পিতার জন্য ছেলের এই কোরবানি। জাতির জনকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখেই ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এবার ২১০টি গরু দিয়ে জাতীয় শোক দিবসে গরিব-দুস্থ অসহায় ও দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য বিশেষ এ আয়োজন করেছি আমি।

এমপি একরাম চৌধুরী বলেন, নোয়াখালীর পৌরসভার ২৯টি স্পটে ৫৫টি গরু, সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ৬৬টি স্পটে ৬৬টি গরু, সুবর্নচর উপজেলার ৪০টি স্পটে ৪০টি গরু, কবিরহাট উপজেলা ও পৌর এলাকার ৩০টি স্পটে ৩০টি গরু এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ২০টি স্থানে দুপুর ১২টা থেকে বিকেলে পর্যন্ত বিশেষ এ ভোজ চলবে। এছাড়া হাসপাতাল, বিভিন্ন মন্দির গীর্জাসহ আরও কয়েকটি স্থানে বিশেষ এ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পাপাশি ভোজ ছাড়াও দিনটি উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মিলাদ ছাড়া ও সব উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।