এরা বাবার নায়িকা, ছেলেরও নায়িকা!

মেয়েরা কুড়ি পেরোলেই বুড়ি—এই কথা ভুল প্রমাণিত করেছেন পাঁচ বলিউড সুন্দরী। তাঁরা বলিউড অভিনেতা বাবা-ছেলে উভয়েরই বিপরীতে নায়িকা হয়েছেন। কয়েকজন তো আবার ‘হাঁটুর বয়সী’ নায়কের সঙ্গেও জুটি বেঁধেছেন। এই পাঁচ বলিউড সুন্দরী হলেন মাধুরী দীক্ষিত, শ্রীদেবী, হেমা মালিনী, ডিম্পল কাপাডিয়া ও অমৃতা সিং।

এ প্রসঙ্গে সবার প্রথমে উঠে আসে বলিউডের প্রথম সুপারস্টার নায়িকা শ্রীদেবীর নাম। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘মম’-এ তাঁর অভিনয় বহুল প্রশংসিত হয়। ৩০০ ছবি করা এই নায়িকা ধর্মেন্দ্র ও সানি দেওল উভয়েরই নায়িকা হয়েছেন। যারা বাস্তবে বাবা-ছেলে। সানি দেওলের সঙ্গে শ্রীদেবীকে ‘চালবাজ’, ‘নিগাহে’সহ একাধিক ছবিতে জুটি বাঁধতে দেখা যায়। আবার সানির বাবা বলিউড সুপারস্টার ধর্মেন্দ্রর নায়িকা হিসেবেও এই অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন ‘নাকা বন্দী’ ছবিতে।

এই তালিকায় বলিউডের দ্বিতীয় সুন্দরী হলেন মাধুরী দীক্ষিত। অত্যন্ত সফল সিনেমা ‘দয়াবান’-এ মাধুরী বলিউডের অন্যতম সুদর্শন নায়ক বিনোদ খান্নার নায়িকা হিসেবে কাজ করেছেন। শুধু তা-ই নয়, এই ছবিতে বিনোদের সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে তখন রীতিমতো চর্চা হয়েছিল। ‘দয়াবান’ ছবির নয় বছর পর বলিউডের ‘চন্দ্রমুখী’-কে দেখা যায় বিনোদপুত্র অক্ষয় খান্নার সঙ্গে প্রেমের জুটি বাঁধতে। ‘মহব্বত’ সিনেমায় অক্ষয়-মাধুরী জুটি রীতিমতো হিট হয়।

এই তালিকায় অপর অভিনেত্রী হলেন হেমা মালিনী। হেমার বলিউডে অভিষেক হয় রাজ কাপুরের নায়িকা হিসেবে। ১৯৬৮ সালে ‘সাপনো কা সওদাগর’ ছবিতে তাঁর ও রাজ কাপুরের জুটি দেখা যায়। সেই ছবি থেকে হেমার বলিউডে নতুন নাম হয় ‘ড্রিম গার্ল’। এরপর ১৯৭৪ সালে ‘হাত কা সাফাই’ সিনেমাতে রাজ কাপুরের ছেলে রণধীর কাপুরের সঙ্গে বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’-কে দেখা যায় প্রেম করতে।

ডিম্পল কাপাডিয়ার মতো অভিনেত্রীর নামও এই তালিকায় আছে। ডিম্পলও মাধুরীর মতো বিনোদ ও অক্ষয় দুজনের সঙ্গেই আলাদা আলাদা ছবিতে নায়িকা হিসেবে জুটি বাঁধেন। বলিউডের এই দাপুটে অভিনেত্রীকে মুকুল আনন্দের ছবি ‘ইনসাফ’-এ বিনোদ খান্নার বিপরীতে দেখা যায়। আবার ‘দিল চাহতা হ্যায়’-তে বিনোদপুত্র অক্ষয়ের সঙ্গে ডিম্পল এক অসম প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

সাইফ আলী খানের সাবেক পত্নী তথা বলিউড অভিনেত্রী অমৃতা সিং বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন সুপার হিট ছবি ‘বেতাব’ দিয়ে। ১৯৮৩ সালের এই ছবিতে তাঁর ও সানি দেওলের রসায়ন সবার নজর কাড়ে। এর ঠিক ছয় বছর পর ধর্মেন্দ্রর স্ত্রীর ভূমিকায় ‘সচ্চাই কি তাকত’ ছবিতে অমৃতা অভিনয় করেন।