এসএসসি পাস না করেই তিনি এমবিবিএস ডাক্তার

চিকিৎসার নামে প্রতারণার মাধ্যমে অগ্রিম টাকা গ্রহণ ও ভুয়া ডাক্তার পদবি ব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মো. আলম খান নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রাম বাজারের তাজ খান শপিং কমপ্লেক্সে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক অভিযানের সময় এ জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বড়লেখার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফ উদ্দিন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রাম বাজারে ভুয়া পদবি ব্যবহার, মানুষের কাছ থেকে অবৈধভাবে অগ্রিম টাকা নিয়ে চিকিৎসার আশ্বাসসহ নানা অনিয়ম করে আসছিলেন ভুয়া ডাক্তার পদবিধারী মো. আলম খান। অভিযান পরিচালনার সময় রিমা বেগম নামে এক নারীর কাছ থেকে চিকিৎসার নামে অগ্রিম ৫ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। আলম খান টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন।

এছাড়া তার নামের পাশে এমবিএস ডাক্তার লেখলেও তিনি কোনো কাগজপত্র এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সনদপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। মিথ্যা তথ্য দেয়ায় তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারা এবং মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে চিকিৎসার নামে অগ্রিম নেয়া পাঁচ হাজার টাকা ওই নারীকে ফেরত দেয়া হয়।

এ সময় বড়লেখা থানা পুলিশের শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শক (পিএসআই) মো. মইনুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সাইফুল ইসলামসহ চান্দগ্রাম বাজার বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফ উদ্দিন জানান আলম খানের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তিনি চিকিৎসার জন্য এক নারীর কাছে ১০ হাজার টাকা অগ্রিম দাবি করেন। ওই নারী একসঙ্গে দিতে না পারায় পাঁচ হাজার টাকা দেন। এছাড়াও তিনি ভুয়া পদবি ব্যবহার করছেন। যার কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি। এজন্য ভোক্তা অধিকার আইন ও মেডিকেল ডেন্টাল অ্যাক্টে তাকে জরিমানা করা হয়।