এ আবার কেমন শখ!

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এখনো ‘ফর্সা’ বা ‘উজ্জ্বল’ গায়ের রঙকে কালো বা শ্যামলা রঙের চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে গায়ের রঙ সৌন্দর্য্যের অন্যতম মাপকাঠি বলে বিবেচিত হয়।

থাইল্যান্ডেও গায়ের রঙ ফর্সা করার প্রবণতা দেখা যায় অনেক নারী-পুরুষের মধ্যে। কিন্তু ‘পুরুষাঙ্গ’ ফর্সা করার চেষ্টার কথা এই প্রথম জানা গেল।

থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতাল অনলাইনে ভিডিও পোস্ট করেছিল। যেখানে দেখা যায় কিভাবে তারা পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার কাজটি করে। ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যেই এভাবে লেজার রশ্মি ব্যবহার করে পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার চেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্কবাণী দিয়েছে।

লেজার রশ্মি ব্যবহার করে এই কাজটি করা হয়। মানুষের ত্বকে যে মেলানিন থাকে, লেজার দিয়ে সেটি ধ্বংস করা হয়। থাইল্যান্ডের লেক্সাস হাসপাতাল অবশ্য পুরুষাঙ্গ নয়, মেয়েদের গোপনাঙ্গ ফর্সা করার কাজটাই আগে শুরু করেছিল।

এরপর পুরুষদের দাবি মেনেই পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার কাজ শুরু করে হাসপাতালটি। যদিও থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়ে দিয়েছে, যৌনাঙ্গ ফর্সা করার ফলে শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ব্যথা, ফুলে যাওয়া, দাগ পড়া এমনকি বন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। আর লেজার দিয়ে পুরুষাঙ্গ ফর্সা করা শুধু অর্থের অপচয়ই নয়। এতে ভালোর চেয়ে শরীরের ক্ষতিই হবে বেশি।-আজকাল