ঐক্যফ্রন্ট জনগণকে উপেক্ষা করেছে : আওয়ামী লীগ

আত্মপ্রকাশের মাত্র চার দিনের মাথায় কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এতে ঐক্যফ্রন্টের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ বলছে, এর মাধ্যমে জনগণকে উপেক্ষা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ একে নেতিবাচক রাজনীতি হিসেবে দেখছেন। তবে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলছেন, কোনো দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন আছে কি-না তা পর্যবেক্ষণ করাই কূটনীতিকদের কাজ। তাই এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলাটা জনগণের স্বার্থেই।

আনুষ্ঠানিক আত্নপ্রকাশের ৪ দিনের মাথায় দেশের রাজনীতিতে সরকারবিরোধী নতুন জোট ঐক্যফ্রন্টের প্রথম কর্মসূচি কুটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ প্রায় ২১ দেশের কুটনীতিকদের সঙ্গে নতুন এ জোটের এ কর্মসূচিতে ছিল রুদ্ধদার, ছিল না সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার। জোটের এ শীর্ষ নেতার কাছে প্রশ্ন ছিল, রাজনৈতিক জোটের প্রথম কর্মসূচি কেন বিদেশীদের সঙ্গে?

ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম রব বলেন, ‘বাংলাদেশে বিদেশি কূটনৈতিকরা থাকে কেনো? তাদের কাজ কী? বিচারের স্বাধীনতা আছে কিনা, নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে কিনা এসব পর্যবেক্ষণ করার জন্য বাংলাদেশে বিভিন্ন সংস্থা বা দেশের কূটনৈতিকরা থাকেন। বাংলাদেশ কি হচ্ছে আমরা তাদের সেই সব জানাবো। সমাজের শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে আমাদের আলোচনা, সমালোচনা, প্রেস কনফারেন্স, রাউন্ড টেবিল এগুলো চলতে থাকবে।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জোটের এ কর্মসূচিকে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখে। নেতারা বলছেন, সরকারের শেষ সময়ে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ দৌড়ঝাপে নেমেছে সরকারবিরোধীরা।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এদের মূল লক্ষ্যই হলো আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র যারা করছে তাদের হাতকে শক্তিশালী করা। দেশে একটি অস্থিতিশীল, নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বানচাল করে একটি অসংবিধানিক সরকারকে এদেশে নিয়ে আসা।’

সাবেক এক কুটনীতিক বলছেন, বিভিন্ন দেশের কুটনীতিক নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিনিময় হতেই পারে। কিন্তু এর মাধ্যমে জনবিছিন্ন শক্তির ভুল বার্তা দেবার আশঙ্কা থাকে বলেও মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এটা হতে পারে। কিন্তু তারা এটা করেছে কারণ তাদের সমর্থন দরকার। কারণ তারা জানা তাদের সমর্থন নেই। তারা এখন বিদেশি শক্তি দ্বারা পরিচালিত। পাকিস্তান ড. কামাল হোসেন ও তার কম্পানিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা এসব না করে সিলেট, রাজশাহী, খুলনায় যাবে। এটাই তাদের কর্মসূচি হওয়া দরকার ছিল।’

এর আগে নির্বাচন পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করতে ভারতের দৌড়ঝাপ করতে দেখা গেছে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলকে।