ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলন হবে ঢাকায়

ইসলামি সম্মেলন সংস্থা (ওআইসি)’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলন ২০১৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। আইভরি কোস্টের অর্থনৈতিক রাজধানী আবিদজানে চলমান ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৪তম সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওআইসিতে বাংলাদেশের সক্রিয়, গঠনমূলক ভূমিকা ও ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের স্বীকৃতি হিসেবে এ সিদ্ধান্ত এসেছে।

আবিদজানে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৪তম সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। আইভরিকোস্টের প্রেসিডেন্ট আলাসানে ওয়াতারা সোমবার এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

সম্মেলনে ঢাকায় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলন আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তাব দিলে সদস্য দেশগুলোয় পূর্ণ-সমর্থন জানায়। প্রায় সাড়ে তিন দশক পর ঢাকায় এ সম্মেলন আবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ ওআইসি ট্রয়কা’র অংশ এবং আগামী তিন বছরের ওআইসি’র ৮ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য হলো।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বাংলাদেশের জনগণকে এ সম্মান দেওয়া ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ওপর পুনরায় আস্থা রাখার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ধন্যবাদ জানান।

বিপুলসংখ্যক সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ও পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র, বিভিন্ন ওআইসি প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা ৪৪তম সম্মেলনে অংশ নেন।

সম্মেলনে চলতি বছরের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সংহতিপূর্ণ বিশ্বে তারুণ্য, শান্তি ও উন্নয়ন’।

সম্মেলনে তারুণ্যের বৃহত্তর ভূমিকা ও অংশগ্রহণে শান্তি, উন্নয়ন ও ইসলামি সংহতির গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে ইসলামি বিশ্বের সংহতি, ঐক্য ও মতভেদ দূর করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে এক বিবৃতি দেন। তিনি মুসলিম বিশ্বের অঢেল সম্পদের সদ্ব্যবহার ও দ্রুততর উন্নয়নের পথ অনুসরণের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, উন্নয়ন অনেক সমস্যার সমাধান করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহত্তর আন্তঃওআইসি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরামর্শ দেন এবং বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত একটি ইসলামিক কমন মার্কেটের গন্তব্যে পৌঁছার লক্ষ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য ও এফটিএ বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম প্র্যাকটিস বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন, আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি, শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়ন, সন্ত্রাস ও উগ্রপন্থা দমন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সাফল্যের কাহিনী বিনিময়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসি’র পিআর গোলাম মসি প্রমুখ। সূত্র: বাসস