ওজন কমাতে চাইলে সকালের নাস্তা করতে ভুলবেন না!

টেল আভিব ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক গবেষণা অনুসারে ৮ ঘণ্টা ঘুমের পর ঠিক মতো পেট ভরে সকালের নাস্তা না করলে শরীরে অন্দরে নানা নেতিবাচক পরিবর্তন হতে শুরু করে। বিশেষত জিন স্ট্রকচারে বদল আসতে শুরু করে। ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

১৮ জন স্বাস্থ্যকর মানুষের উপর এই গবেষণাটি চলাকালীন গবেষকরা লক্ষ্য করেছিলেন প্রাতঃরাশ না করলে সাইকেলিক ক্লক জিনে পরিবর্তন আসতে থাকে। যে কারণে ওজন বাড়তে থাকে। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে দৌহিক ওজন একটি নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি হলেই নানাবিধ মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই তো দিনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিল হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে সকালের নাস্তাকে। শরীরের সচলতা থেকে রোগমুক্তি সবই নর্ভর করে এই সময় কী খাবার, কতটা পরিমাণে খাওয়া হচ্ছে তার উপর।

অবাক করার মতো বিষয় হল সারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় সিংহভাগই সকালের নাস্তা ঠিক মতো করেন না। ফলে যা হওয়ার তাই হয়! একদিকে যেমন শরীর ভাঙতে শুরু করে, তেমনি একাধিক রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধে। ফলে লগু পাপে গুরুদণ্ড হয়ে যায়।

অর্থাৎ হঠাৎ মৃত্যুর আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
হাবার্ড ইউনিভার্সিটির করা এক গবেষণা অনুসারে যারা নিয়মিত ব্রেকফাস্ট করেন না, তাদের হাঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে হরমোনাল ইমব্যালেন্স সহ আরও নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

ওজন বৃদ্ধি পায়
অনেকেই ভাবেন কম খেলে ওজন কমে। এই ধরণা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। বরং যত কম খাবেন, তত বেশি বেশি করে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। কেন এমনটা হয় জানেন? সকালের নাস্তা না করার কারণে লাঞ্চের সময় আসতে আসতে এতটাই ক্ষিদে পেয়ে যায় যে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়ে যায়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হতে হতে এক সময়ে গিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সেই কারণেই তো চিকিৎসকেরা সকালের নাস্তা, দুপুরের এবং রাতের খাবার এই তিনটে সময়ে ভুলেও খালি পেটে থাকতে মানা করেন।