ওজন কমাতে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ

সুষম খাদ্যের তালিকায় দুধের নাম থাকে প্রথম কাতারেই। আয়রন ছাড়া দুধে সেই সমস্ত পুষ্টিই পাওয়া যায় যা সুস্থ জীবনযাপনের জন্য ভীষণ প্রয়োজন। এতে প্রোটিন তো আছেই, এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, বি১, বি২, বি১২ এবং ভিটামিন ডি। ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামও রয়েছে ঠাসা।

রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানো, হাড় মজবুত করা, ত্বকের পুষ্টি এবং ভালো ঘুমের সহায়ক হিসেবে দুধের কোনও জুড়ি নেই। এনডিটিভি অবলম্বনে জেনে নিন দুধ খেয়ে কীভাবে কমাবেন ওজন।

সুস্থ শরীর চালাতে প্রোটিনের ভূমিকা আমাদের অজানা নয়। আর দুধ সেই প্রোটিনের সম্ভার। দুধে রয়েছে ক্যাসেইন, অ্যালবুমিন ও গ্লোবিউলিন প্রোটিন। যা আমাদের ক্ষিদের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আমাদের ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণে রাখে এমন হরমোন নিঃসরণ করে দুধ আমাদের ক্ষুদা কমাতে সাহায্য করে।

হাড় ও দাঁত মজবুত করা ছাড়াও ওজন কমাতে ভূমিকা রয়েছে ক্যালসিয়ামেরও। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত যে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি পাচন ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে।

দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি-৩, যা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য তো করেই, বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য শক্তির যোগান দিতেও এর ভূমিকা অনেক।
প্রোটিন হজম করতে বেশ সময় লাগে। সুতরাং দুধের প্রোটিন হজম করতে গিয়ে আমাদের অকারণ ক্ষিদা পাওয়াও কমে যায়। পেট ভরা থাকার ফলে অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার খেতে প্রয়োজনই হয় না।

সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দুধে থাকা লিওলেনিক অ্যাসিড শরীরের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে।

যারা নিরামিষাশী, তাদের খাদ্য তালিকায় দুধ তো অনিবার্য। গরুর দুধ ছাড়াও, ছাগলের দুধ, মহিষের দুধেও একই প্রোটিন সম্ভার রয়েছে। দুধের তৈরি প্রোটিন শেক বা দুধ দিয়ে তৈরি ওটসও সাহায্য করবে সুস্থ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে।

শুধু দুধ পান করলেই যে ওজন কমে যাবে এমনটা ভাবলে কিন্তু হবে না। খাদ্য তালিকায় নিয়মিত এক থেকে দুই গ্লাস দুধের পাশাপাশি রাখতে হবে অন্যান্য শাক-সবজি-ফলও। আরও ভালো ফল পেতে নিয়মিত ব্যায়ামের চেয়ে ভালো কী-ই বা হতে পারে! রোজ এক ঘণ্টা ব্যায়াম করে এসে খান এক গ্লাস দুধ।