কংগ্রেস ৮০ হাজার ‘বাংলাদেশি’ ফেরত পাঠায়, বিজেপি ১,৮২২ জন

ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি অমিত শাহ বিদেশিদের ফেরত পাঠানো সম্পর্কে মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছে ভারতের কংগ্রেস পার্টি।

দেশটির হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকার খবরে বলা হয়, কংগ্রেস মুখপাত্র রনদিপ সিং সুরজেওয়ালা শনিবার রাজ্যসভায় ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তিনটি বক্তব্য উদ্ধৃত করে এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট ২০০৫-২০১৩ সালে ৮২,৭২৮ ‘বাংলাদেশিকে’ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট গত চার বছরে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ১,৮২২ জনকে।

২০০৮, ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে তিনবার রাজ্যসভাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ২০০৫-২০১৩ সালে ৮৮,৭৯২ জন ‘বাংলাদেশিকে’ ফেরত পাঠানো হয়েছে।

২০০৮ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাধিকা সেলভি জানান ২০০৫ সালে ১৪,৯১৬ জন, ২০০৬ সালে ১৩,৬৯২ জন এবং ২০০৭ সালে ১২,১৩৫ জন ‘বাংলাদেশিকে’ ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

এরপর ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু রাজ্যসভাকে জানান, ফেরত পাঠানো বাংলাদেশিদের সম্পর্কে আরও দুই বার রাজ্যসভায় বক্তব্য দেন।

মোদি সরকার প্রতারণা, ছলচাতুরি, এবং ভণ্ডামি করছেন বলে অভিযোগ করে সুরজেওয়ালা নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে নাগরিকত্ব প্রশ্নে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে বলেন।

তিনি বলেন, একদিকে তারা নাগরিক তালিকা এনআরসি বানিয়ে মায়া কান্না কাঁদছেন এবং বিদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর দাবি করছেন, অন্যদিকে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল-২০১৬ এর মাধ্যমে বিদেশিদের নাগরিকত্ব প্রদানের ব্যবস্থা করছেন, যা এনারসির কাজ ভণ্ডুল করে দিচ্ছে।

জনগণকে বোকা না বানিয়ে মোদি, শাহ এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের পরিষ্কারভাবে জানানো উচিত তারা এনআরসি নাকি সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল সমর্থন করেন, বলেন সুরজেওয়ালা।