‘কওমি স্বীকৃতি প্রদানে শেখ হাসিনাকে কেউ টলাতে পারেনি’

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শেখ আবদুল্লাহ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণেই কওমি সনদের স্বীকৃতি দেয়া সম্ভব হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত সরকার নিজেদের ইসলামি সরকার দাবি করলেও তারা কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেয়নি। বরং স্বীকৃতির নামে কওমি আলেমদের তারা ধোঁকা দিয়েছিল।

শনিবার রাজধানীর বারিধারায় জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি প্রদানে আওয়ামী লীগ সরকার শুরু থেকেই আন্তরিক ছিল জানিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ থেকেই স্বীকৃতির বিষয়ে আমি কাজ করছি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আলেমদের কাছে স্বীকৃতি দেয়ার ওয়াদা করেছিলেন। বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তিনি তার ওয়াদা পূর্ণভাবে রক্ষা করেছেন।

অনেকেই কওমি সনদের বিরোধিতা করেছিল জানিয়ে শেখ আবদুল্লাহ বলেন, কওমি সনদের স্বীকৃদি দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই বিরোধিতা করেছেন। এমনকি আমাদের দল ও জোটের অনেকেও বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তার কথায় অটল অবিচল। স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা শেখ হাসিনাকে টলাতে পারেনি।

স্বীকৃতির বিরোধিতায় জোটের যারা সোচ্চার ছিল, তাদের কেউ কেউ এখন ধর্মীয় বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

বারিধারার জামিয়া আশরাফীয়া মাদ্রাসায় জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শোলাকিয়া ইদগাহর গ্রান্ড ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।

কওমি সনদের স্বীকৃতি আদায়ে বিশেষ অবদান রাখায় মাওলানা মাসঊদকে ধন্যবাদ জানিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বলেন, কওমি সনদের স্বীকৃতি অর্জনে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের অবদান অবিস্মরণীয়। স্বীকৃতির স্বার্থে তিনি অনেক ব্যক্তিগত বিষয়েও ছাড় দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বিগত বছর হাইয়াতুল উলইয়ার অধীনে অনুষ্ঠিত দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ও জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মিশকাত,শরহে বেকায়াসহ বিভিন্ন শ্রেণীর উত্তীর্ণ ছাত্রদের পুরস্কৃত করা হয়।

অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের সহসভাপতি মাওলানা আবুল কাসেম, জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, রাজধানীর সার্কিট হাউজ মসজিদের খতিব মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ, জামিয়া আশরাফীয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল আলিম প্রমুখ।