কণ্ঠমেলার গ্র্যান্ডফিনালে ও পদক প্রদান

দীঘল মিডিয়া আয়োজিত ‘ইসলামী গানের জাতীয় প্রতিযোগিতা কণ্ঠমেলা ২০১৮ এর গ্র্যান্ডফিনালে’ আজ ৫ জুলাই শুক্রবার, সকাল ৯টায় মগবাজার, নজরুল একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিল্পী আব্দুর রউফের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কণ্ঠমেলার ব্যবস্থাপক আবু সাঈদ খান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী। বিচারক ছিলেন নজরুল সংগীতশিল্পী সালাউদ্দীন আহমেদ, সুরকার ও শিল্পী মশিউর রহমান এবং শিল্পী ও সাংবাদিক আমিরুল মোমেনীন মানিক।

২০১৮ সালের জুন মাস থেকে কণ্ঠমেলার এ আয়োজন শুরু হয়। সারাদেশ থেকে প্রতিভাবান শিল্পীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। অডিশন রাউন্ড, সিলেকশন রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল পেরিয়ে সেরা দশ গ্র্যান্ডফিনালে অংশগ্রহণ করে। চ্যাম্পিয়ন- মবিনুর রহমান সোহান, প্রথম রানার আপ সাবা তাসনুবা, দ্বিতীয় রানার আপ শামসুন্নাহার পিয়ারি, চতুর্থ আমেনা আক্তার সানজু, পঞ্চম তরিকুল ইসলাম, ষষ্ঠ সাইফুল ইসলাম, সপ্তম আবু জাফর আরিফ, অষ্টম তাওহীদুজ্জামান, নবম আমির হামজাহ এবং দশম স্থান অধিকার করে জারিন তাসনিম মালিহা। চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানার আপ ও দ্বিতীয় রানার আপকে স্বর্ণপদকসহ বিজয়ীদেরকে ক্রেস্ট এবং সনদ প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, নজরুল, আব্বাসউদ্দিন, আব্দুল আলীম ও মতিউর রহমান মল্লিক এর মাধ্যমে বাংলাদেশে যেভাবে ইসলামী গানের ধারা শুরু হয়েছে বর্তমানেও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এ ধারা প্রচলিত রয়েছে। কণ্ঠমেলার আজকের যে আয়োজন তারই প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি। এভাবে ইসলামী ধারার সংস্কৃতি চালু থাকলে বাংলার জমিনে ইসলামের ঝান্ডা পত পত করে চিরকাল উড়বে। দীঘল মিডিয়া আমাকে যে পদক ও গানরাজ উপাধি দিয়েছে এজন্য আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি ভবিষতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহবান জানান।

সমাপনী বক্তব্যে কণ্ঠমেলার চেয়ারম্যান মোস্তফা মনোয়ার বিজয়ী শিল্পীদের অভিনন্দন ও সবাইকে স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং প্রতিভাবান শিল্পী বাছাই ও তাদের বিকাশের জন্য কণ্ঠমেলার এ আয়োজন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠানে সংগীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ শিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসীকে ‘গানরাজ’, ইসলামী গান রচনা, সুর নির্মাণ ও শিল্পী হিসেবে তোফাজ্জল হোসাইন খানকে ‘উস্তাদ’ এবং সুর নির্মাণে শিল্পী মশিউর রহমান লিটনকে ‘সুরসম্রাট’ উপাধি ও কণ্ঠমেলা পদক প্রদান করা হয়। বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার, শিল্পী, সাংবাদিকসহ সাহিত্য – সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।