কথা না শুনলেই গুলি : ভারতীয় পুলিশ

ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের সাজা ঘোষণাকে কেন্দ্র করে হরিয়ানার রোহতক শহর অনেকটা নিরাপত্তা দুর্গে রূপ নিয়েছে। পুলিশ বলেছে, কেউ সহিংসতার চেষ্টা করলে তাকে সতর্ক করা হবে। সতর্কতায় কর্ণপাত না করলে গুলি করা হবে।

পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী থেকে সেনাবাহিনী সবাই রয়েছে পূর্ণ সর্তকতায়। ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ডেরা সাচা সৌদার বাবা গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের সাজা ঘোষণা হবে বেলা আড়াইটা নাগাদ।

গত শুক্রবার পঞ্চকুলায় সিবিআই আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করার পরেই রাম রহিমের অনুগামীদের তাণ্ডবে ৩৭ জন মারা গিয়েছে৷ আজ অন্তত সাত থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে রাম রহিমকে। আর যদিও এরচেয়েও কঠোর শাস্তির নিদান হয়, তাহলে যে ভক্তদের আস্ফালন চরমে পৌঁছবে, সে কথা অনুমান করেই কঠোর অবস্থানে ভারতীয় পুলিশ।

ডেরা সমর্থকেরা যাতে ঢুকে পড়তে না পারে, সে জন্য রোহতক সংলগ্ন জেলাগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে৷ যুক্তি সঙ্গত এবং গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া কেউ রোহতকে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের সতর্কতামূলক ভাবে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা৷

পুলিশ জানিয়েছে, তারা পঞ্চকুলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না৷ হরিয়ানা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের যেকোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।

রোহতকের জেলাশাসক অতুল কুমার সাফ জানিয়েছেন, প্রয়োজনে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

সিরসায় ডেরার প্রধান আশ্রমে এখনও বাবার প্রায় ৩০ ভক্ত রয়েছে। প্রশাসনের বহু চেষ্টা, অনুরোধ সত্ত্বেও আশ্রম ছেড়ে যেতে রাজি হয়নি তারা৷ দাঙ্গা পুলিশ ও সেনা আশ্রমের বাইরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে৷

হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে ১৩০টি ডেরা ক্যাম্পাসে তল্লাশি চালিয়ে রড, লাঠি, পেট্রোল বোমা বানানোর সরঞ্জাম পাওয়া গিয়েছে৷ সিরসার আশ্রমের কাছে একটি গাড়ি থেকে একে-৪৭ এবং পিস্তল উদ্ধার হয়েছে৷

রোহতক শহরের প্রান্তে সুনারিয়া জেলে আছেন বাবা রাম রহিম। সাজা ঘোষণার জন্য এই জেলে উড়িয়ে আনা হবে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারককে৷

ডেরার বিভিন্ন শাখা বন্ধ রাখা হয়েছে৷ যদিও এক সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বাবার ১৫ হাজার ভক্ত রোহতকে ঢুকে পড়েছে৷