কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস আজ

সুন্দরের সঙ্গে সত্যের সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠার দুর্মর প্রচেষ্টার নামই রবীন্দ্রনাথ। হিংসা কিংবা ঘৃণা নয়, ভালোবাসার জয় দেখতে চেয়েছেন তিনি। রবী ঠাকুর, বাঙালির অবিরাম আনন্দ-বেদনার সারথি হয়ে আছেন। আজ ২২ শ্রাবণ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৮তম প্রয়াণ দিবস।

রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘মাটি পায় না তাকে’। পেয়েছি কি আমারা তাকে? কতশত সৃষ্টি দিয়ে আমাদের অন্তরের গভীরে পৌঁছে যাচ্ছেন যিনি বাধাহীন।

কবিতা লিখেছেন। মনে হয়েছে যা বলতে চেয়েছেন তা বলা হয়নি। গল্প লিখেছেন তাই। কালির আখরে প্রাণের সুবর্ণ তরঙ্গমালা তেমনিভাবে বেঁধে রাখতে পারেননি। সে কারণে লিখেছেন নাটক, প্রবন্ধ। তৃপ্ত হতে পারেননি রবীন্দ্রনাথ। সুরে সুরে প্রাণের লহরিতে ঝংকার তুললেন। এর পরেও মনে হয়েছে তার গোপন-গহন অন্তঃপুরে আরও সৃষ্টির বীজ বুঝি রয়ে গেল। রং, রেখা ও তুলির সাহায্যে আপন হৃদয়ে মূর্তি গড়লেন রবি ঠাকুর।

সত্যের স্থির অকম্পিত শিখাকে বুকে ধারণ করেছিলেন, মানুষের লোভ, পাপ হত্যা করার জন্য সত্যের সৌন্দর্য তলোয়ার শানিয়েছেন।

অবিরল প্রাণের উচ্ছ্বাসে মানুষের মনের গভীর গহীনে আলো ফেলেছেন। বাঙালির কত মুহূর্ত অপরূপ হয়ে আছে রবীন্দ্রনাথে। এমন করে বলেছেন কত কথা, যা শুনে মনে হয়েছে এটা তো আমরাই কথা। যেন অজানা কোনো সিন্দুকে বন্দি ছিল এতকাল।

সৌন্দর্য ও সত্যের সাধক যিনি, সেই ঐশ্বর্যবান রবীন্দ্রনাথে তাই বিস্ময় জাগে।

রবীন্দ্র গবেষক ড. মাসুদুজ্জামান বলেন, বহু বিচিত্র ভাব এবং বহু বিচিত্র বিষয়ের মধ্য দিয়ে সেই ভাবকে প্রকাশ করা, ব্যক্ত করা; এটা রবীন্দ্রনাথের আগে আমরা ব্যাপকভাবে পাই না। অনেক কিছুই তার মাধ্যমে প্রথম ব্যক্ত হয়েছে।

রবী ঠাকুর বিচিত্র কর্মধারার মধ্যে সবধরনের আত্ম অহং জলাঞ্জলি দিয়ে সর্বাঙ্গীণ মনুষ্যত্বের প্রতীক হিসাবে নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছিলেন।