কলারোয়ার দেয়াড়ায় সরকারি বেড়িবাঁধের মাটি কেটে বাণিজ্য!

সরদার কালাম, দেয়াড়া (কলারোয়া) : কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে নির্মিত ভেড়িবাধ কেটে, কপোতাক্ষ নদ তীরবর্তী পুকুর থেকে মাটি উত্তোলন করে অন্যত্র বিক্রি বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা ইউনিয়ান পরিষদে মৌখিক অভিযোগও করেছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়- দেয়াড়া-পাকুড়িয়ার ৬নং ওয়ার্ডের কপোতাক্ষ নদের ধার থেকে, জনৈক আমিনুর ইসলামের আবাদী জমির মাটি ড্রেজারের মাধ্যমে কেটে ট্রাক ভর্তি করে মাটি অন্যত্র নেয়া হচ্ছে। সেখানকার সরকারি ভেড়িবাধের পাশ থেকে ওই মাটি কাটা হয়েছে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা জানান- ‘বন্যার কবল থেকে কপোতাক্ষ পার্শ্ববর্তী জনগণকে বাঁচাতে, বর্তমান উন্নয়নশীল সরকার ঐ ভেড়িবাধ নির্মাণ করেন। সেই ভেড়িবাধ কেটে আমিনুর ইসলামের পুকুর খননের মাটি কেটে ৬নং ওয়ার্ডের রবিউল ইসলাম ট্রাক ভর্তি করে মাটি অন্যত্র বিক্রি করছেন।’
তারা আরো জানান- ‘আমরা স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতির আশঙ্কা থেকে রেহাই পেতে গত রবিবার এ কাজে বাধা দেয়। কিন্তু তারা আমাদের কথা না শুনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মাহবুবুর রহমান মফের কাছে মৌখিক ভাবে জানিয়েছি।’

স্থানীয়রা অভিযোগের সুরে জানান- ‘উপজেলা ভুমি অফিস থেকে কর্মকর্তারা এসে বাধা দিলে অস্থায়ী ভাবে কাজ বন্ধ করলেও, পুনরায় চালু করেছে।’

বিষয়টি নিয়ে রবিউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘পুকুরের মাটি অপসারণে একটু অসুবিধা দেখা দিলে, আংশিক ভেড়িবাধ কাটা হয়েছে। কাজ শেষ হলেই বন্ধ করে দেয়া হবে।’

জমির মালিক আমিনুর ইসলাম বলেন- ‘আমার পুকুর খনন করার কাজে আমি ব্যস্ত।’
‘সেই মাটি বিক্রয় এবং ভেড়িবাধ কেটে অপসারণের বিষয় কিছুই জানেন না’ বলে আমিনুর ইসলাম দাবি করেন।

এ ব্যাপারে দেয়াড়া সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আকলিমা খাতুনের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘বিষয়টি প্রথমত আমি কিছুই জানতাম না, স্থানীয় লোকজন আমাকে জানালে আমি রবিউল ইসলাম ও জমির মালিক আমিনুর ইসলামকে নিষেধ করি। এবং কাজ বন্ধ করে উপজেলায় বিশেষ কাজে চলে যায়। পরবর্তীতে কী হয়েছে আমি সঠিক জানি না।’

তিনি মুঠোফোন পাশে অবস্থানরত দেয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মাহবুবুর রহমান মফের কাছে মোবাইল ফোন দিয়ে বিষয়টি জানতে বললেন।

সেসময় ইউপি চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান গাজী মাহবুবুর রহমান মফে বলেন- ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে যথারীতি কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং কর্তন করা বেড়িবাধ পুনরায় সংস্কারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
‘আমার জানা মতে রবিউল ইসলাম ও আমিনুর ইসলাম কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন এবং কর্তন করা ভেড়িবাধ সংস্কার করে দিবেন বলে অনুরোধ করেন’ বলে জানান তিনি।

কিন্তু তারা যদি নিষেধ অমান্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মাহবুবুর রহমান মফে।

বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।