কলারোয়ায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর ধর্ষণের অভিযোগে আটক ২

মিলন দত্ত, কলারোয়া, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের কেঁড়াগাছি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এবং অভিযুক্ত দুই যুবককে আটক করেছে কলারোয়া থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি গ্রামের মিষ্টি ব্যাবসায়ী অনন্ত ঘোষের ছেলে ট্রাক হেল্পার ভুবাল ঘোষ (২০) এবং একই গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন (২১)।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুক্রবার (৭ জুন) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে কেঁড়াগাছি গ্রামের কৃষক আরিফ হোসেনের তৃতীয় শ্রেণী পড়ুয়া শিশুকন্যা সুমনা (১০)তার ৬ বছরের ছোট ভাইকে নিয়ে বাড়ির ৫০ গজ পূর্ব পাশের খেজুর বাগানের নিকটে খেলা করছিল। এমন সময় কেঁড়াগাছির মিষ্টি ব্যাবসায়ী অনন্ত ঘোষের ছেলে ভুবাল ঘোষ ও আব্দুর রহমান ছেলে ইমরান হোসেন ঐ স্থানে উপস্থিত হয়ে সুমনাকে ফুসলিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন ভিকটিমের ভাই চিৎকার করলে ভিকটিমের বাবা ছুটে আসলে অভিযুক্ত ভুবাল ও ইমরান পালিয়ে যায়। অতঃপর ভিকটিমকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে। অতঃপর ভিকটিমের বাবা স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিদুল গাজীকে জানালে তিনি পুলিশকে খবর দেন বলে জানা যায়।

খবর পেয়ে কলারোয়া থানার এসআই রইচ উদ্দিন ও এসআই মোস্তাক তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন করেন।

এ ব্যাপারে কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আফজাল হোসেন হাবিল বলেন , খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বিস্তারিত জেনে অভিযুক্তদের পুলিশে সোপর্দের ব্যাবস্থা করেছি।

এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর-উল-গীয়াসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এ ব্যাপারে কলারোয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমকে জবানবন্দি প্রদানের জন্য আদালতে নেয়া হয়েছে।

এ দিকে এ রকম ন্যাক্কার জনক ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত পূর্বক প্রকৃত অপরাধীদের কঠিনতম শাস্তির দাবি করেন এলাকার সচেতন মহল।