কলেজছাত্রীর মৃতদেহে প্রাণ ফেরাতে চায় ওঝারা

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ঝাড়-ফুঁক দিয়ে সাপের কামড়ে মৃত এক কলেজছাত্রীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে ওঝারা। যা কৌতুহল সৃষ্টি করেছে এলাকায়। কৌতুহলি মানুষকে থামাতে ডাকা হয়েছে পুলিশকে।

উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামের মনোরঞ্জন দাসের মেয়ে শিবানী রানী দাস (২৫) গত ৫ আগস্ট মধ্যরাতে ঘরের বাইরে বের হন। এ সময় তার পায়ে সাপ কামড় দেয়। পরে তাকে বাড়ির লোকজন বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সেখান থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ৬ আগস্ট সোমবার সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এরপর ওইদিন বিকেলেই তার লাশ বাড়িতে নেয়া হয়। বাড়িতে আনার পর তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে সব জায়গায়। এরপর বিভিন্ন জায়গা থেকে ওঝারা এসে জড়ো হন ওই বাড়িতে। রাতেই ওঝারা শুরু করেন ঝাড়-ফুঁক।

মঙ্গলবার ওই বাড়িতে গেলে দেখা যায়, মৃত শিবানীকে বাঁচানোর আশ্বাসে সোফায় বসিয়ে তন্ত্র-মন্ত্র পড়ছেন ওঝারা। আর দূর-দূরান্ত থেকে এ দৃশ্য দেখার জন্য লোকজন এসেছে তাদের বাড়িতে। ভিড় সামাল দিতে সেখানে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কমর উদ্দিন ও ইউপি সদস্য পুলিশ নিয়ে লোকজনকে নিয়ন্ত্রণ করছেন।

শিবানীর দাদা প্রনথ চন্দ্র দাস বলেন, ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেছে। কিন্তু স্বজনদের মন। ঝাড়-ফুঁকেও যদি মেয়েটা আবার দেহে প্রাণ ফিরে পায়। লোকজন বলছে ওঝা ঝাড়-ফুঁক দিলে নাকি সুস্থ হতে পারে।

ইউপি চেয়ারম্যান কমর উদ্দিন বিকেলে বলেন, মৃত্যুর খবর শুনেই তাদের বাড়িতে অবস্থান করছি।

এ ব্যাপারে ডা. সাঈদ এনাম বলেন, হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষণা করার পরেও বিজ্ঞানের যুগে এ ধরনের কুসংস্কার দুঃখজনক।