কলেজছাত্রীর হাতে ডাকাত সর্দার কুপোকাত

মেয়েরা এখন আর অবলা নয়, তারাও পারে অধিক সাহসিকতার পরিচয় দিতে। এমনি এক ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে। শাহিদা আক্তার একা (১৭) নামে এক কলেজছাত্রীর সাহসী ভূমিকা ও বুদ্ধিমত্তায় কুপোকাত হয়েছে মিলন মিয়া (৪৫) নামে এক ডাকাত সর্দার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের উত্তর পূর্বচর পাড়াতলা গ্রামে।

কলেজপড়ুয়া ছাত্রীর হাতে ডাকাত সর্দার আটকের ঘটনাটি এখন টক অব দ্য কটিয়াদী। শাহিদাকে একনজর দেখতে শতশত উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছে।

শাহিদা আক্তার একা সাবেক সেনা সদস্য মো. শহিদুল্লার মেয়ে।সে কটিয়াদী ডা. আবদুল মান্নান মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ডাকাত সর্দার মিলন মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায়।

এলাকাবাসী জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে একদল ডাকাত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মো. শহিদুল্লার বাড়িতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিতে চাইলে চিৎকার দেন তার স্ত্রী জাহানারা। পাশের ঘরে থাকা গৃহকর্তা শহিদুল্লাহ দরজা খুলতেই অতর্কিত হামলা চালিয়ে আহত করে।

এ সময় এসএসসি পরীক্ষার্থী জুনায়েদ হোসেন অপুকে এক ডাকাত মারপিট করতে থাকলে তার বড় বোন শাহিদা আক্তার একা ডাকাত সর্দারকে জাপটে ধরে। এ অবস্থায় ডাকাত তার মাথায় এবং হাতে সজোরে আঘাত করে ছুটে যেতে চাইলেও শাহিদা তাকে ছাড়েনি।

তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে ডাকাত দল পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ সময় শাহিদার হাতে ধরাপড়া ডাকাত পালিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে টেনেহিঁচড়ে অনেক দূর নিয়ে গেলও সে তাকে ছাড়েনি। এ সময় এলাকাবাসী এসে ডাকাত সর্দার মিলনকে আটক করে বেঁধে রাখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মো. শহিদুল্লাহ (৫৫), জাহানারা (৩৫), সাবিনা আক্তার (২৫), শাহিদা আক্তার একা (১৭) ও এসএসসি পরীক্ষার্থী জুনায়েদ হোসেন অপু (১৬) আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্বজনরা।

এ বিষয়ে কটিয়াদী মডেল থানার ওসি জাকির রব্বানি বলেন, এটি একটি চুরির ঘটনা হতে পারে। একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।