কাঁচা বাদাম কেন খাবেন

বাজারে অনেক রকমের বাদাম কিনতে পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় বাদামটির নাম চিনাবাদাম। অন্যান্য বাদামের তুলনায় চিনাবাদাম সহজলভ্য বলেই হয়তো অনেকে একে তেমন গুরুত্ব দিতে চান না। কিন্তু খাদ্যগুণে চিনাবাদাম কোনো অংশেই কম নয়। সবচেয়ে বেশি উপকার মিলবে ভাজা বাদামের বদলে কাঁচা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে।

কাঁচা হজম করতে না পারলে পানিতে ভিজিয়ে খাবেন। বাদামের ওপর পাতলা বাদামি বা খয়েরি রঙের আবরণ থাকে। পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলেই খোসাটা উঠে যায়। গর্ভবতী মহিলা, বাড়ন্ত শিশু ও মেনোপোজ হয়ে গেছে এমন নারীদের জন্যও কাঁচা বাদাম ভীষণ জরুরি। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম।

বাদামের প্রোটিন দেহ গঠনে ও মাংসপেশী তৈরিতে সাহায্য করে। কাঁচা বাদাম কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার ও হার্টের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, যা হাড় গঠনে সাহায্য করে। বাদামে রয়েছে প্রচুর আয়রন, যা রক্তে লোহিতকণিকার কার্যক্রমে সহায়তা করে। বাদামের ভিটামিন ই এবং ক্যারোটিন ত্বক ও চুল সুন্দর রাখে। ত্বকে বলিরেখা বিলম্বিত করে।

বয়স্ক নারী ও পুরুষের জন্যও বাদাম ভীষণ জরুরি। কারণ, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে আমাদের দেশে ৪০ বছরের পর বেশির ভাগ মানুষের অসটিও পোরোসিস হয়, এই অসুখে হাড় দুর্বল হয়ে যায়, যা পুরো শরীরের ওপর ফেলে ক্ষতিকর প্রভাব। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজন দেহের ওজন কমানো, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা ও নিয়মিত ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।

মেনোপোজ হয়ে যাওয়া নারীদের হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। তাঁদের দেহে জরুরি অনেক হরমোন তৈরি হয় না এমন অবস্থায়ও কাঁচা বাদাম হতে পারে আপনার বন্ধু। এতে শরীরের জন্য জরুরি অনেক উপকরণ রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ত্বকে জোগায় পুষ্টি, সাহায্য করে বার্ধক্যকে দূরে ঠেলতে। ত্বকের অসুখগুলোকে দূরে রাখে। দাঁত, হাড়, নখ, চুলকে উজ্জ্বল ও সুন্দর করতে এই বাদামের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তবে সবাই হজম করতে পারে না। অবশ্যই নিজের হজমক্ষমতা বুঝে বাদাম খান ৷