কাঠগড়ায় ৩১ আসামি, রায় পড়ার অপেক্ষা

আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ৩১ আসামিকে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ থেকে বিশেষ আদালতের কাঠগড়ায় নেয়া হয়েছে।

বুধবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তাদের আদালতে নেয়া হয়। এর আগে ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এই আসামিদের ঢাকায় আনা হয়।

পুলিশের প্রিজনভ্যানে বাড়তি নিরাপত্তা দিয়ে তাদের ঢাকায় এনে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের গারদে রাখা হয়।

দীর্ঘ ১৪ বছর পর বুধবার এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন বিচারক।

ইতোমধ্যে আসামি ও সরকার পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে হাজির হয়েছেন। তবে এখনো বিচারক আসেননি। তিনি আসার পরই রায় পড়া শুরু হবে বলে জানা গেছে।

রায় ঘিরে আদালত ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকে তল্লাশি করে আইনজীবীদের আদালতে ঢুকতে দেয়া হয়।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১ ও ২ (ভারপ্রাপ্ত) এর জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা পরিবর্তন ডটকমকে জানান, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১ ও ২- এ থাকা ১৪ আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও আব্দুস সালাম পিন্টু রয়েছেন।

অন্যদিকে, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, হাইসিকিউরিটিতে থাকা ১৭ জন আসামিকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

হাইসিকিউরিটি কারাগারে থাকা ১৭ আসামিই হুজি নেতা। আর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১ ও ২-এ থাকা আসামিদের মধ্যে বাবর-পিন্টু ছাড়াও রয়েছেন, হুজি নেতা আরিফ হাসান সুমন ও মওলানা আব্দুর রউফ, পুলিশের সাবেক আইজি আশরাফুল হুদা ও শহুদুল হক, অতিরিক্ত আইজি খোদা বকস, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সিআইডির সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমীন, এএসপি আব্দুর রশিদ ও মুন্সি আতিকুর রহমান, ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা আরিফুর রহমান আরিফ, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুর রহিম।