কারাগারে আদালত বসানোর বৈধতা নিয়ে খালেদাকে রিট করার অনুমতি

কারা অভ্যন্তরে আদালত বসানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রিট করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার দুপুরের দিকে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীদের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ অনুমতি দেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচারিক আদালত স্থানান্তরের গেজেট প্রকাশ করে। সেই গেজেট সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও বেআইনি বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

তারা জানান, কারা অভ্যন্তরে অস্থায়ী আদালতের গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে রিট করা হবে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ওই আদালতে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এর আগেই এ রিট করা হবে। কী কী যুক্তিতে আইনি সুবিধা পাওয়া যায়, সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত গেজেট আইনের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও বেআইনি। কারাগারে আদালত স্থাপনের গেজেট প্রকাশের সেই আইনি প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে আমরা উচ্চ আদালতে রিট করছি। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে এ রিট করা হবে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ঢাকায় পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে খালেদা জিয়ার অসম্পন্ন বিচার শুরু হয়েছে। ওই দিন খালেদা জিয়া উপস্থিত হয়ে আদালতের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার যতদিন ইচ্ছা সাজা দিন। আমি বারবার এভাবে আদালতে আসতে পারব না।’ খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ওই আদালতকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে তা বর্জন করেন।

এর আগে মঙ্গলবার নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষকে বিশেষ জজ আদালত-৫ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সাত মাস ধরে এই কারাগারে বন্দি আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় একই বিচারক তাকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেন।