কারাবন্দি বাবাকে দেখতে এসে ৬ বছরের শিশু খুন

চট্টগ্রামে কারাবন্দি বাবাকে দেখতে এসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে শিশু জোবায়েদ (৬)। শনিবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর একটি খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকালে বন্দর থানার গোসাইলডাঙ্গার আত্মীয়ের বাসা থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয়। বাসা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে খাল থেকে লাশ উদ্ধার হওয়ার ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। পরকীয়া বা অন্য কোনো কারণে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে কিনা সে বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।

লক্ষ্মীপুর জেলার তোরাবগঞ্জ উপজেলার শাহজাহানের ছেলে জোবায়েদ। শাহজাহান মাদকের মামলায় চট্টগ্রাম কারাগারে তিন বছর ধরে সাজা ভোগ করছেন। তার আট বছরের সাজা হয়েছে। শাহজাহানের স্ত্রী রিনা আক্তার মাঝে মাঝেই তাকে দেখতে আসতেন। স্বামীকে দেখার জন্য জোবায়েদকে নিয়ে রিনা বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের গোসাইলডাঙ্গায় তার বোনের বাসায় ওঠেন। বিকালে খেলতে বের হয় জোবায়েদ। তাকে না পেয়ে শুক্রবার সকাল থেকে এলাকায় মাইকিং করা হয়। রাতে বন্দর থানায় জিডি করেন শিশুর খালা।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে গোসাইলডাঙ্গার বাসা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে সিমেন্ট ক্রসিং এলাকার মহেশখাল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটির নাকে-মুখে রক্তের ছাপ রয়েছে। জোবায়েদের জ্যাঠা শহিদ বলেন, কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। ময়দনাতদন্ত ছাড়াই লাশ নিয়ে যেতে চাই। ময়নাতদন্ত করে আর কি হবে। পুলিশ বলছে, এটা যে হত্যাকাণ্ড সেটা নিশ্চিত। কারণ বাসার কাছে কোনো খাল নেই। শিশুটিকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ দূরে ফেলে দেয়া হয়েছে। রোববার লাশের তদন্ত করা হবে।

স্বামীকে দেখার কথা বলে ১ মার্চ চট্টগ্রাম এসেছিলেন রিনা। এক সপ্তাহ না যেতে তিনি একই কথা বলে আবার চট্টগ্রাম এসেছেন। এছাড়া শিশুটির নিখোঁজ হওয়ার আগে-পরে দু’দিনে রিনার সঙ্গে তার ভাসুর শহিদের অন্তত ৫০০ বার মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। রিনা ও শহিদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক থাকতে পারে। অশালীন কিছুর সাক্ষী হওয়ার কারণে হয়তো শিশুটি খুনের শিকার হয়েছে। শহিদ জানান, ভাতিজা নিখোঁজের খবর শুনে চট্টগ্রাম এসেছি।