কাশ্মীর হামলায় সিধুর তীর বিজেপির দিকে

জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পুলিশ কনভয়ে হামলা করে ৪০ জন নিহতের দায় স্বীকার করেছে জইশ-এ মোহাম্মদ।

আর ২০০২ সাল থেকে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ সংগঠনটির প্রধান মাসুদ আজহার। পাকিস্তানের মদদে তার নির্দেশেই কাশ্মীরে হামলা হয়েছে বলে ভারত দাবি করে আসছে।

আর ১৯৯৯ সালে এই মাসুদ আজহারকেই ছেড়ে দেয়ার জন্য ক্ষমতাসীন বিজেপিকে নিশানা করে তোপের মুখে পড়েছেন ভারতের পাঞ্জাবের মন্ত্রী ও সাবেক ক্রিকেটার নভোজিৎ সিংহ সিধু।

কলকাতার জনপ্রিয় আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, ১৯৯৯ সালে কান্দাহর বিমান অপরহণের পর তৎকালীন এনডিএ সরকার মাসুদ আজহারকে মুক্তি দিয়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিজেপি নেতা অটলবিহারী বাজপেয়ী।

সেই প্রসঙ্গ তুলে সোমবার সংসদে সিধুর প্রশ্ন, ‘কারা মুক্তি দিয়েছিল আজহারকে? আমাদের লড়াই তাদের বিরুদ্ধে।’

এরপর তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আমরা কেন কাশ্মীর নিয়ে স্থায়ী সমাধানের পথে যাচ্ছি না?’

পাশাপাশি পুলওয়ামা নিয়ে নিজের করা আগের মন্তব্য থেকে সিধু সরছেন না বলেও জানান।

সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেন না দাবি করে তিনি বলেন, ‘হামলার পর থেকে যেভাবে পাকিস্তানের প্রতি বিদ্বেষের আবহ তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে, আমি কেবল তার বিরোধিতা করছি।’

বিজেপিকে শুধু আক্রমণ নয়, এদিন পাঞ্জাব বিধানসভায় রীতিমতো বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সাবেক এই ক্রিকেটার।

ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সিধু। বিধানসভায় এদিন সেই শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার ছবি দেখিয়ে তাকে তুলোধুনা করেন আকালি দলের এমপিরা।

বিধানসভায় বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন আকালির এমপি বিক্রম সিংহ মাজিঠিয়া। সিধু এবং মাজিঠিয়ার মধ্যকার বাকযুদ্ধ রীতিমতো বচসায় আকার নেয়।

তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে কটূ শব্দ প্রয়োগ করতে থাকেন। এটা এতটাই বাজে পরিবেশ তৈরি করে যে, বিধানসভার বাজেট অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়। সিধুর বিরুদ্ধে অকালি দলের পাশাপাশি বিধানসভায় সরব হয় বিজেপিও।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় হামলার পর সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ঘটনার নিন্দা করেন সিধু। তবে, হামলার পর থেকে যেভাবে পাকিস্তানের প্রতি বিদ্বেষের আবহ তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে, তার বিরোধিতা করেন তিনি।

পাকিস্তানের নাম না করে সিধু বলেছিলেন, ‘কাপুরুষের মতো হামলা চালানো হয়েছে পুলওয়ামায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি আমি। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, নাশকতা সব সময়ই নিন্দনীয়। দোষীদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু, হাতে গোনা কয়েকজনের অপরাধের দায় একটা গোটা দেশ বা সেখানকার সাধারণ মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়া যায় কি?’

সিধুর সেই মম্তব্য ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। যার জেরে ‘দ্য কপিল শর্মা শো’ থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়। তারপর ফের সোমবার বিদানসভায় নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করলেন সিধু।