কিছুটা ভাব সাবলীল সুখ || নাজমীন মর্তুজা

কিছুটা ভাব সাবলীল সুখ
নাজমীন মর্তুজা


স্তন ছোঁবে খাজনা দেব না বলে
যত অনুতাপ
আগ্রাহ্য রইবো অফুরান,
এই শহরে….
তারাগঞ্জ থেকে ইকরচালি
দুপুর বাড়লে নসিমন স্ট্যাণ্ডে
দাবি – দাওয়া নিয়ে দাঁড়াবো…
কুকুর ছানাগুলোর জন্য রিলিফ দরকার।
ভাবছি পালাবো রংপুরে
পায়রাবন্দ গ্রামে…
দেহ ভাণ্ড অজ্ঞান অনিশ্চিয়তায় ভরা
ঝাঁকে ঝাঁকে বনটিয়া খুঁটছে ঠোঁট
ফাঁসি কাষ্ঠে ঝোলা স্তন
নীচের বধ্যভূমি লাঙল কষে …
কেবল তো একটা কাজই করেছি
দিন – রাত – সপ্তাহ – মাস
বছরের পর – বছর
খেলা….. খেলা…. খেলার লড়াই
তারা নিশ্চয় অন্ধকার পরিভ্রমণ করে
আমার কাছে চায় শুধু নিবেদন…..
নিবেদন….. আর নিবেদন।
ওরা বন্দুক লুকায় গিরীখাদে বারুদ ভেজায়
হয় রসোময় জলের উচ্ছ্বাসে।
আদর করে খোঁপা বেঁধে দেয়
শ্রোতা দেয় গোপনীতা দেয়
আহাল্লাদে ডাকে কুসুম
তারপর হয় কুসুম ফোঁটার কারিগর
ভ্রুণ হয় ঝোপে ঝাড়ে
খসে পড়ে, ঘাসে ঘাসে
পাটল মাটিতে আসমুদ্র হিমাচলে
গ্রীষ্মে ফোঁড়াগুলো ফেটে
রক্ত ঝরে বয়ে যায় ঋজু নদীর জলে
গত মাসে লাল হয়ে ভরে ছিল পাগলাপীর…..
স্টেশন আর সামাদের
চায়ের দোকানের চেয়ার…
বুকের পর্বতগুলো ফুলে
উঠলে বড় বাজারের কুকুরগুলো
প্রথম দেখায় অভিভূত হয়।
তারপর জমিতে ঢালে বীজ
স্বস্তিতে ঘুমায় পূর্বগেটের বস্তিতে।
ওরা হুমকি দেয় বাড়ি ভাঙ্গা হবে,
জমি ভাগা-ভাগী হবে
আস্থাবর সম্পত্তি নিলামে উঠবে..
কিন্তু আমি তো তৈরি নই
হিসাবে গরমিল করেছি
বাজারের বাৎসরিক লাভক্ষতি।
তবুও হালখাতা হবে।
অঙ্গহীন হাত নিয়ে
কি করে চাইবো ক্ষমা
তবে স্তন ছুঁয়ে থাক
চাইবো না অনুগ্রহ কিছুতেই
পােকা মাকড়ের কাছে নীরবতা শিখে
দেখে যাব দূরাগত
প্রাকৃতিক দৃশ্য।