কিশোরগঞ্জে কিটনাশক খাইয়ে দুটি গরুর মৃত্যু

খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের দক্ষিন বাহাগিলী টেপাদাহ এলাকার আনিচা বেওয়ার (৫০) দুটি গরুকে কিটনাশক খাইয়ে মেরে ফেলা হয়।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে ওই এলাকার মৃত সাজু মামুদের ছেলে আব্দুল হামিদ টন্না (৪৫),আফাজ উদ্দিনের ছেলে আকালু মামুদ (৪০) ও ছফর উদ্দিনের ছেলে আফছার আলী (৬০) মিলে বাড়ীর সামনে বেঁধে রাখা দুটি গরুর উদ্দেশ্যে কলার সাথে কিটনাশক মিশিয়ে ছুরে মারে। বাড়ীর পার্শ্ববর্তী একজন লোক সেই কলা ছুরে মারা দেখলে আব্দুল হামিদ টন্নাকে প্রশ্ন করেন কেন গরুকে কল দেয়া হলো। পরে কলা দেয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। গরু দুটি সেই কলা খেলে কিছুক্ষনের মধ্যে অসুস্থ্য হয়ে পরে। তাৎক্ষনিক কিশোরগঞ্জ প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে নেয়া হলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা প্রদান করেন এবং গরু দুটিকে বেশী করে পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন। গরু দুটি দুপুরের দিকে বাড়ীতে নিয়ে এলে আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে পরে এবং সন্ধ্যার পূর্বেই গরু দুটি মারা যায়। গরু হারিয়ে এখন বিধবা আনিচা বেওয়া এখন পাগল প্রায়। ওই এলাকার সাধারণ মানুষ জানান আব্দুল হামিদ টন্না ওরফে গরু মারা টন্না প্রায় দু’বছর পূর্বে এলাকার প্রায় দুই শতাধিক গরুকে কিটনাশক খাইয়ে মেরে ফেলেছে। আবার কিছু গরু সে মেরে ফেলার আগেই জবাই করে পার্শ্ববর্তী উপজেলা সৈয়দপুরে কসাইদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে জবাই করা গরু দিয়ে দিত। আর গরুর মালিককে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে শান্তনা দিত। এমতাবস্থায় এলাকার লোকজন তার বিষয়ে জানতে পারলে তিনি এলাকা থেকে দু’বছর পালিয়ে ছিলেন। পরে বাহাগিলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলু তাকে গ্রামে নিয়ে এসে তওবা পরিয়ে তার বাড়িতে রেখে যান। তারপর সে আবার হঠাৎ সোমবার সকালে কিটনাশক মিশানো কলা গরুকে খাইয়ে মেরে ফেলেন। এ ব্যাপারে আব্দুল হামিদ টন্না পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেয়া হয়নি। বাহাগিলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলুর সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার বিষয়ে শুনেছেন বলে জানান। কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশীদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ আমাকে দিয়েছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।