কিশোরের পাকস্থলী থেকে বের হলো ১ কেজি প্লাস্টিক!

অনেকেরই নানা জিনিস মুখে দেওয়ার বদ অভ্যাস থাকে। কেউ অভ্যাসে সে কাজ করে তো কেউ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে।

কিন্তু সে কাজে শেষমেশ ক্ষতি হয় শরীরেরই। কিছুদিন আগে ভারতের কলকাতার প্রদীপকুমার নামের এক ব্যক্তির পেটে অস্ত্রোপচার করে অনেক গুলো পেরেক। পেয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কলকাতার পর এবার হতভম্ব পাঞ্জাবের চিকিৎসকরা। এক কিশোরের পেট থেকে বের হয়েছে এক কেজি প্লাস্টিক ও কাঠ।

পাঞ্জাবের ভাটিন্ডার এলাকার ১৬ বছরের কিশোর অর্জুন শাহ। প্লাস্টিক চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল ছোটবেলা থেকেই। কখনও আবার কাঠের টুকরোতেও কামড় বসাতো। বাবা-মায়ের নিষেধ অমান্য করে তাঁদের লুকিয়েই নিজের অভ্যাস জারি রাখে সে।

এভাবেই পেটের ভিতর একটু একটু করে জমতে থাকে বস্তুগুলি। যার জেরে একসময় অসহ্য পেটের যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করে সে।
যন্ত্রণা এতটাই বাড়ে যে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল সে। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সাত দিনে ১৫ কেজি ওজন কমে গিয়েছিল তার। কিন্তু চিকিৎসকরা বাইরে থেকে দেখে কিছুই বুঝতে পারেননি।

রোগ চিহ্নিত করতে অর্জুনের পাকস্থলীতে পরীক্ষা করা হয়। আর তারপরই পেটের ভিতরের ছবি দেখে চক্ষু কপালে ওঠার মতো চিকিৎসকদের। রীতিমতো আবর্জনায় ভরে গিয়েছে পাকস্থলী। গিজ গিজ করছে কালো প্লাস্টিক ও কাঠের টুকরো।

চিকিৎসকরা জানান, অর্জুনের রোগ ‘পিকা’ নামে পরিচিত। এক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি বালি, পাউডার, পাথর, ময়লা ধরনের জিনিস খেতে আগ্রহী হয়। এর ক্ষেত্রেও খাদ্যাভাসের সমস্যাই হয়েছিল। অস্ত্রোপচার করে ৩০০ গ্রাম পদার্থ বের করতে পেরেছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, আরও তিনটি অস্ত্রোপচার করলে তবেই পেটের ‘জঞ্জাল সাফ’ হবে। ছেলের প্রাণরক্ষা করায় চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন অর্জুনের মা।