কী আছে শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবনে’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

শুক্রবার (২৫ মে) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে ভবনটির উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এসময় সেখানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন।

কী আছে বাংলাদেশ ভবনে

বাংলাদেশ ভবনের জমির পরিমাণ ৮ বিঘা সমপরিমাণ বা প্রায় ২.৭৫ একর। ভবনে রয়েছে ৪৫৩ আসনবিশিষ্ট একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম, দু’টি সেমিনার হল, গ্রন্থাগার, জাদুঘর, ক্যাফেটেরিয়া ও আর্কাইভ স্টুডিও।

অডিটোরিয়ামটিতে আলো এবং শব্দের যথাযথ প্রক্ষেপণের দারুণ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অডিটোরিয়ামের ছাদ তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশের নৌকার ছৈ-এর আদলে।

ভবনের নিচ তলায় দু’টি সেমিনার হল রয়েছে যার প্রত্যেকটি ১৬০ আসন বিশিষ্ট। প্রয়োজনে সেমিনার হল দু’টির অন্তর্বর্তী স্লাইডিং ফোল্ডিং পার্টিশন সরিয়ে একটি মাল্টিপারপাস হল হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব।

ভবনের নিচতলায় দক্ষিণ পার্শ্বে প্রায় ৩০০০ বর্গফুট জয়াগাজুড়ে একটি জাদুঘর আছে। এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কিত বিষয়াদি প্রদর্শনীর জন্য স্থান পাবে।

নিচতলায় প্রবেশের পরে ভবনের ভেতরে একটি উঠান আছে। উঠানে প্রাকৃতিক আলো আসার ব্যবস্থা রয়েছে এবং বর্ষাকালে ওই উঠানে বসে বর্ষার শব্দ ও আমেজ উপভোগ যাবে। বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রচারের জন্য এই উঠানে কোনো মেলার আয়োজন হতে পারে বা একটি মিলনমেলার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

লাইব্রেরিটি ভবনের দোতলায় প্রায় ১৩০০ বর্গফুট জায়গাজুড়ে। এছাড়াও একটি স্টুডিও ও একটি ফ্যাকাল্টি কক্ষের সংস্থান রয়েছে দোতলায়।

দোতলার বামপার্শ্বে প্রায় ১০০০ বর্গফুটের একটি ক্যাফে আছে। ক্যাফের বাইরে খোলা ছাদে বসার ব্যবস্থা রয়েছে।

পুরো ভবনটি প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রবেশগম্য হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনে ব্যবহৃত উপকরণসমূহে মাটি পোড়ানো ইট ব্যবহার না করে স্যান্ড সিমেন্ট দ্বারা তৈরি ইট ব্যবহার করা হয়েছে এবং চৌচালা ছাদে ইটের টালির পরিবর্তে পিভিসি লাল টালি ব্যবহার করা হয়েছে।