কুবির ছাত্রী হলের রান্নাঘরে আগুন

ইমদাদুল হক মিরন, কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) একমাত্র ছাত্রী নিবাস নবাব ফয়জুন্নেছা ছাত্রী হলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে হলের রান্নাঘরের চুলায় সংযুক্ত পাইপের লিকেজ থেকে আগুন লেগে যায় বলে জানান ছাত্রীরা।

জানা যায়, হলের রান্নাঘরের একমাত্র গ্যাসের চুলাটি দীর্ঘদিন ধরেই ত্রুটিপূর্ণ ছিল। চাবি ভেঙে যাওয়ার পর অনেকদিন ধরেই চামচের মাধ্যমে ঝুঁকি নিয়ে চুলা চালু ও বন্ধ করতেন ছাত্রীরা। শনিবার দুপুরে তারা রান্নার কাজ করতে গেলে লিকেজ থেকে আগুন পুরো চুলায় ছড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে ছাত্রীরা হলের নিরাপত্তারক্ষীকে অবহিত করলেও তিনি ব্যাপারটিকে তখন পাত্তা দেননি।

পরবর্তীতে আগুন পুরো চুলা এবং জানালার গ্রিলে ছড়িয়ে গেলে রান্নাঘর ও এর আশপাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এতে ছাত্রীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে নিরাপত্তারক্ষীকে খবর দিলে বিকাল ৪টা নাগাদ এসে তিনি পুড়ে যাওয়া চুলার ত্রুটিপূর্ণ সংযোগস্থল বিকল করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ছাত্রীরা জানান, রান্নাঘরে একটি বৈদ্যুতিক বোর্ড ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে ছিল, আগুন বেশি ছড়িয়ে পড়লে যা থেকে ঘটতে পারত ভয়ানক দুর্ঘটনা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঐ বৈদ্যুতিক বোর্ড মেরামত করা হয়নি বলেও জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হলের আবাসিক এক ছাত্রী বলেন, ‘দুপুরে চুলার চাবিতে আগুন লাগার পর আমরা নিরাপত্তারক্ষীকে জানালেও তিনি কর্ণপাত করেননি। আগুন বেড়ে যাওয়ার পর আমরা ভয় পেয়ে তাকে খবর দিলে ৪টার দিকে এসে আগুন নেভান। পাশেই বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড ছিল, বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের প্রাধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এটা বড় ধরনের কিছু ছিল না। ছাত্রীরা ভাত রান্না করার সময় যে মাড় উপচে পড়ে তা জমে গিয়ে স্তর হয়ে গিয়েছিল, সেখানেই আগুন লেগে যায়।’

ইতোমধ্যে পুড়ে যাওয়া চুলা সরিয়ে নতুন চুলা সংযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।